নিজস্ব প্রতিনিধি: - শহীদ শেখ কামাল দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেছেন, শেখ কামাল পড়াশোনা, সংগীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় স্বাধীনতার পর বন্ধুদের নিয়ে নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও নাট্যাঙ্গনে শেখ কামাল ছিলেন সুপরিচিত ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
তিনি বলেন, শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির একজন মানুষ। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি দেশের ক্রীড়াজগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ব্যক্তিগত প্রজ্ঞা ও নিজস্ব ক্রীড়া ভাবনায় এ দেশে আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ তিনি। খেলাধুলার সব শাখায়ই ছিল তার মুনশিয়ানার ছাপ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের অগ্রযাত্রা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়ে।
শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, ক্রীড়ানুরাগী, সংস্কৃতিমনা, তারুণ্যদীপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছেন। কীর্তিমান এ তরুণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছর থেকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আবদুল হামিদ বলেন, এ পুরস্কার ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎসাহিত করবে এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে চলমান অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে।
শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।