র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), যার প্রতিপাদ্য “বাংলাদেশ আমার অহংকার”- অপরাধ ও সন্ত্রাস দমনে রাষ্ট্রের এক অত্যন্ত দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বাহিনী হিসেবে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলেছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে র্যাব সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে। এছাড়াও, সময়োপযোগী অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে সংস্থাটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
অবৈধ অস্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মাদক নির্মূলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্প, ঢাকা এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল ০৬/০৯/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ২০.৫০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ডিএমপি, ঢাকার গেন্ডারিয়া থানাধীন আজগর আলী হাসাপাতাল এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত গোপন তথ্য যাচাই ও নিশ্চিত হওয়ার পর, উক্ত আভিযানিক দল দ্রুত সংশ্লিষ্ট এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে বর্ণিত স্থানে পৌছামাত্র একজন আসামি র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতের নাম মো: রনি @ শুটার রনি (৪০), পিতা- মো: ইউসুফ আলী, সাং- চিকন্দি, গয়ঘর, থানা- পালং মডেল সদর, জেলা- শরীয়তপুর, এ/পি সাং- যুক্তিবাদি গলি, দোলাইরপাড়, থানা- শ্যামপুর মডেল, ডিএমপি, ঢাকা বলে জানা যায়। এ সময় তার কাছ হতে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন ও ০৮ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি পুলিশের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র, যা সে অবৈধভাবে তার হেফাজতে রেখেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বর্ণিত আসামি শুধু মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত নয়, তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন পেশাদার অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাজধানীর গেন্ডারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র ও মাদকের সিন্ডিকেট তৈরী করে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
এই অভিযান র্যাব‑১০ এর নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা কাজ, সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া ও দক্ষতার নিদর্শন। অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম উন্মোচনে এটি একটি প্রশংসনীয় উদাহরণ। আপনার কাছে যদি কোথাও অবৈধ অস্ত্র, মাদকের বেচাকেনা বা অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য থাকে, তাহলে দয়া করে তা র্যাবকে অবহিত করুন। আপনার একটি তথ্য একটি পরিবার বা জীবনের রক্ষাকবচ হতে পারে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।