জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আয়তন ও অবকাঠামোগত কারণে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এতে খরচও হয় অনেক। বিদ্যুতের ব্যয় কমানো ও পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোকেও এ প্রকল্পের আওতায় আনতে চায় ইউজিসি। ওপেক্স মডেলের এই প্রকল্পে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনে কলেজগুলোকে কোন খরচ করতে হবে না। উৎপাদিত বিদ্যুৎ তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। আর উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা জানান ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, দেশের উচ্চ শিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভৌত অবকাঠামো অনেক ব্যাপক ও বিশাল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসেও বছরে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যয় হয়। যার খরচও অনেক। বিদ্যুৎ খাতের এই বিশাল ব্যয়ভার কমিয়ে আনতে পারলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লাভবান হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম বলেন, দেশের নির্বাচিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তাবিত এই সিস্টেমে যুক্ত হলে বছরে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান ও প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম আলোচনা সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা, পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও রিপোর্টিং শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আসিফ সিদ্দিক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের প্রভাষক মোঃ শিহাব উদ্দিন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।