logo

সময়: ০৭:৩৩, রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

রাজশাহী থেকে সারাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ সরবরাহ করা; ফরিদা আখতার

Masud Rana
২২ নভেম্বর, ২০২৫ | সময়ঃ ০৯:৪৯
photo
রাজশাহী থেকে সারাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ সরবরাহ করা; ফরিদা আখতার

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
বলেছেন, ময়মনসিংহে বেশি মাছ চাষ হলেও রাজশাহীর অবদানও কম নয়। রাজশাহী
থেকে সারাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বেলা এগারোটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী
নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মৎস্য অনুষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলন
এবং প্রদর্শন- ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন দুইভাবে হয়ে থাকে। একদিকে নদী, খাল-
বিল, হাওড়-বাঁওড় থেকে অপরদিকে মৎস্য চাষের মাধ্যমে। দুটো পদ্ধতিই গুরুত্বপূর্ণ।
মৎস্য চাষ নিজের গুণেই এগিয়ে যাচ্ছে। অ্যাকুয়াকালচার মাধ্যমে মৎস্য চাষের
কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়েছে, ফলে সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী দামে মাছ
খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, আমরা প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত
মাছ ধরবো না, খাবো না।
তিনি বলেন, মাছ রপ্তানি হতেই হবে। যে-সব দেশে মাছ রপ্তানি করবেন, সেসব
দেশেও বাঙালি আছে। আপনার এই মাছটি তারাই খাবে। প্রবাসীরা কষ্ট করে
আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায় অথচ তারা যদি মাছ না পায় সেটা দুঃখজনক ব্যাপার।
আমি মনে করি, আমাদের রপ্তানির সুযোগ অবশ্যই তৈরি করতে হবে। এসময় তিনি
কার্পজাতীয় মাছের রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মৎস্যচাষের ফিড নিরাপদ কিনা- এ প্রশ্ন তুলে উপদেষ্টা বলেন, মাছচাষ করতে
গিয়ে নিরাপদ ফিডের প্রয়োজন হয়। ফিড যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে যে মাছটা
উৎপাদিত হচ্ছে সেটা ভোক্তার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। তাই অনিরাপদ
ফিড যাতে বাজারে না আসে সেদিকে নজর রাখতে হবে। নিরাপদ ফিডের
পাশাপাশি মাছের জন্য নিরাপদ ওষুধও নিশ্চিত করতে হবে।

মাছ উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্রাজিলে
অনুষ্ঠিত কপ সম্মেলনেও সারাবিশ্বে মাছ উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ দেখা গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, বিশেষ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পুকুরের মাছগুলো
বেশি তাপ সহ্য করতে না পেরে মারা যাচ্ছে। তাই সেটার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে
কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা শিখতে হবে এবং মাছকে বাঁচার মতো
পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্যচাষ নীতি প্রণয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। এটা হলে
চাষি হিসেবে করণীয় বিষয়গুলো স্পষ্ট হবে। এ নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে উদ্ভূত
সমস্যার সমাধান সহজ হবে। এসময় তিনি ইলিশ রক্ষা এবং কৃষিজমিতে পুকুর
খনন না করে, অনাবাদি জমিতে পুকুর খনন করে মৎস্য চাষের জন্য সবাইকে আহ্বান
জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ
ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন ও সামিট আয়োজক
কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডল-এর সভাপতিত্বে
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. আ.
ন. ম. বজলুর রশীদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
ড. সালেহ হাসান নকীব।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…