logo

সময়: ০১:০৫, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

পার্বতীপুরে সংবাদ প্রকাশে পশু হাসপাতালে মিলল ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন

Ekattor Shadhinota
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | সময়ঃ ১০:৫৮
photo
পার্বতীপুরে সংবাদ প্রকাশে পশু হাসপাতালে মিলল ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন

রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
সংবাদ প্রকাশের পর দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও পশু হাসপাতালে গবাদি পশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স), ক্ষুরা, লাম্পি ও বাদলা প্রতিরোধের জন্য মিলল ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন।

দিনাজপুর প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের (স্মারক নং-৩৩.০১.২৭০০.০০০.১৬.০০১.২৪) কর্তৃক গবাদি পশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স) দুই হাজার মাত্রা, ক্ষুরা রোগে ২২৪ মাত্রা, লাম্পি রোগে ১০০ মাত্র, হাঁসের ডার্ক প্লেগ’র জন্য ৮ হাজার, কবুতরের পিজিয়ন পক্স ১৫ হাজার, ব্যাকটেরিয়া-বাহিত বাদলা রোগের জন্য দুই হাজার, মুরগির গলাফুলা দুই হাজারসহ মোট ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও পশু হাসপাতালে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোছাহেব আহমদ নাঈম। তিনি বলেন, শহরের নতুন বাজার এলাকায় খামারি মোহাম্মদ প্রিন্সের বাড়িতে ক্যাম্প করে সরকারি মূল্যে এসব ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভাসহ গবাদিপশু গৃহপালিত ও খামারি এলাকায় ক্যাম্প করে ওই সব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। লাম্পি, ক্ষুরা রোগ মাঠে চলমান রয়েছে। পাশের উপজেলায় তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এ উপজেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬টি গরু রয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস মাঠে কাজ করছে।

পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে ও পশু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় খামারিরা বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যাকসিন উচ্চমূল্যে কিনে। সরকারি ক্ষুরা (ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ) ষোলমাত্রার এক ভায়েল ভ্যাকসিনের মূল্য ৪০০ টাকা। কিন্তু ফার্মেসি থেকে তা ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনতে হয়েছে খামারিদের। একইভাবে সরকারি লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) পাঁচমাত্রার এক ভায়েল ভ্যাকসিনের মূল্য ২৫০ টাকা, যা বাজার থেকে ২ হাজার ২শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনতে হয়।

ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোছাহেব আহমদ নাঈম সাংবাদিকদের বলেন, গবাদিপশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স), ক্ষুরা ও লাম্পি প্রতিরোধের জন্য ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। যেহেতু আমরা ভ্যাকিসন পেয়েছি ক্যাম্প করে গবাদিপশুকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করছি পর্যাক্রমে উপজেলা ও পৌরসভায় প্রান্তিক খামারি ও খামারিদের মাঝে সরকারি মূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। রোগ প্রতিরোধে গরুর মালিক ও খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আক্রান্ত এলাকায় উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ হবে। গরু রাখার জায়গা পরিস্কার রাখার পরামর্শ দেয়া হবে।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…