logo

সময়: ০৮:৫৭, বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫

৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ খবর

রাকাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে দুদক

Masud Rana
১৮ নভেম্বর, ২০২৫ | সময়ঃ ১০:৪৫
photo
রাকাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে দুদক

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী কৃষি উনয়ন ব্যাংকের (রাকাব)
আইসিটি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ আবুল কালামের
বিরুদ্ধে ডিজিটাইজেশনের নামে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের
অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন
(দুদক) একটি অনুসন্ধানকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।

photo


দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান মোঃ আমির
হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে। গত মাসের (৩০
অক্টোবর) রাকাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে
অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র ও তথ্য সরবরাহের জন্য
অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোঃ আবুল কালামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য অহহঁধষ গধরহঃবহধহপব ঈড়হঃৎধপঃ (অগঈ)
ড়ভ ঘবঃড়িৎশ ফবারপবং ধহফ ংবপঁৎরঃু ংুংঃবসং ভড়ৎ জধলংযধযর কৎরংযর টহহধুধহ ইধহশ
(ঞবহফবৎ ওউ: ৭৪৪০৭২) শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়ে থাকলে, সেই
তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন। ৪ নভেম্বরের মধ্যে এই
নথি দুদক কার্যালয়ে সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী
সমন্বিত জেলা কার্যালয় এই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অনুসন্ধানকারী দলে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ
মাহবুবুর রহমান।
উল্লেখ্য, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে
দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পদোন্নতিতে অনিয়ম,
ঋণ বিতরণে জালিয়াতি এবং কর্মকর্তাদের লাঞ্চ ভাতা বাবদ টাকা
অনিয়মিতভাবে প্রদানের মতো ঘটনাও রয়েছে। এসব অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং
এর আর্থিক অবস্থাও সংকটের মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদকের এই তদন্ত ব্যাংকটির অভ্যান্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে
বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। অভিযোগের বিষয়ে মোঃ আবুল কালামের
মুঠো ফোনে জানতে একাধীকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। ফলে
তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ব্যাংক একাধীক কর্মচারী ও কর্মকর্তা
জানান, প্রতি ৩বছর পর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলীর নিয়ম থাকলেও ক্ষমতা
আর অর্থের দাপটে একই প্রতিষ্ঠানে এই কর্মকর্তা রয়েছেন ১৭ বছর।
সম্প্রতি তার বদলীর আদেশ আসলেও তিনি তা আমলে না নিয়ে শ্রমিকদের
দিয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি এক ভিডিও
ফুটেজে মব সৃষ্টির সত্যতা পাওয়া গেছে। 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…