নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের ডিপোতে মজুদকৃত শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসা ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালান সহ নুর আহমদ নামে এক পেশাদার এক পেশাদার চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা দায়েরপূর্বক তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নুর আহমদ উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম বড়ছড়ার মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪-৫ চোরাকারবারিকে। এর আগে বুধবার বিকেলে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেশনের ডিপো সংলগ্ন সড়ক পথে চোরাচালানের কয়লা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় চোরাচালানের কয়লার চালানসহ চোরাচালঅনী চক্রের সদস্য নুর আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করে। মিডিয়া সেল জানায়, সম্প্রতি জেলার তাহিরপুরের বড়ছড়া স্থ্য শুল্ক ষ্টেশনের বিভিন্ন পতিত ডিপো ও এর আশে পাশের বসতবাড়ি, একাধিক সীমান্ত গ্রামের বসত বাড়িতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে কয়লার চালান নিয়ে আসার পর মজুদ করে রাখা হচ্ছে। এরপর সময় সুযোগ বুঝে চোরাচালানী চক্রের সদস্যরা বড়ছড়া স্থল শুল্ক ষ্টেষনের সড়ক পথ ও পাটলাই নদীর নৌপথে দেশের বিভিন্ন মোকাকে এসব চোরাই কয়লা বিক্রি করে আসছে। এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে বুধবার থানার এসআই মৃদৃল কান্তি সরকারের নেতৃত্বে বড়ছড়া স্থল ষ্টেশনের একটি ডিপোতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে ডিপো থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা কয়লার চালান সড়িয়ে নেয়ার সময় পুলিশ দেড় মেট্রিকটন (৬০ বস্তা) ভারতীয় চোরাচালানের কয়লা জব্দ করে। এরপর ওই কয়লা চোরাচালানে জড়িত নুর আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় নুর আহমদের সাথে থাকা অপর ৪ থেকে ৫ অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নুর আহমদ তার সঙ্গে থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়লা চোরাচালানে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই-বাচাই শেষে পর্যায় ক্রমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় কয়লা চোরাচালানে জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।