চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, তরুণরাই টেকসই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। তরুণদের সৃজনশীলতা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গিই আগামী দিনের বাসযোগ্য বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে।
আজকের বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানদানকারী প্রতিষ্ঠান নয় বরং উদ্ভাবন, নীতি প্রভাব এবং শিল্পখাতকে রূপান্তরিত করার চালিকাশক্তি। তিনি আরও বলেন, ভবন ও কমিউনিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে শুধু পরিবেশবান্ধবই নয় বরং মানুষের সুস্বাস্থ্যের সহায়ক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই হওয়া উচিত। এ ধরনের লক্ষ্য অর্জনে স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদ ও গবেষকদের আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
আজ ০৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ২০২৫ খ্রি. সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের গ্রিন আর্কিটেকচার সেল এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “3rd International Conference on Green Architecture (ICGrA 2025)” শীর্ষক দুইদিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ খালেকুজ্জামান চৌধুরী, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এস. এম. নাজমুল ইমাম, কনফারেন্স সভাপতি ও বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার এবং বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবুন নাসরিন আহমেদ। এতে কী-নোট স্পিকার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেনবোর্ন এর আর্কিটেকচার, বিল্ডিং এন্ড প্ল্যানিং ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসা নোগুচি (Masa Noguchi) এবং আরবানা বাংলাদেশ এর প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট জনাব আর কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি ও চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। এতে সঞ্চালনা করেন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডসাং প্রæ মারমা অপি এবং নাহরীন আহমেদ নক্ষত্র।
উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের উক্ত কনফারেন্সে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস সহ বিভিন্ন দেশ থেকে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নেন। এতে ২জন কী-নোট স্পিকার উপস্থিত ছিলেন। উক্ত কনফারেন্সে মোট ১৬টি টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আরও থাকবে পোস্টার প্রদর্শনী, একটি যৌথ আন্তর্জাতিক পিএইচডি রিসার্চ সেমিনার এবং এনভায়রনমেন্ট আর্কিটেকচার এর উপর ৫টি প্যারালেল কর্মশালা। বিভিন্ন দেশ থেকে ৬টি পিএইচডি গবেষণা উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্সে মোট ১৫০টি পেপার জমা পড়ে, এর মধ্যে ২দিনে ১৬টি সেশনে ৮০টির অধিক পেপার উপস্থাপিত হবে এবং ৪০টির অধিক পোষ্টার উপস্থাপিত হবে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে স্থাপত্য বিভাগে দুইদিনব্যাপী স্থাপত্য প্রজেক্ট এক্সিবিশিন করা হবে। এতে স্পন্সর হিসেবে থাকবেন নিপ্পন পেইন্ট, বিএসআরএম, সেভেন রিংস সিমেন্ট, ডিবিএল, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল), স্টেলা-লাক্সারি স্যানিটারি ওয়্যার, টেকনো আর্ট সফটওয়্যার ও নেস্টলে।