ঢাকা, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই। তিনি জানান, পার্বত্য অঞ্চলে কোয়ালিটি এডুকেশন ও লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
আজ রাজধানীর মিরপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারে আয়োজিত কঠিন চীবর দান-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসময় জানান, ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজড করা হবে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ স্থানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ডিজিটাল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এ বছরের নভেম্বরের মধ্যে ১০০টি স্কুলে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করার জন্য। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে টেকসই উন্নয়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা ভালো করছে, সুযোগ পেলে আরও ভালো করবে।
লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন অপরিহার্য। পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো মানসম্মত স্কিম গ্রহণ করা হয়নি, তাই সংশ্লিষ্টদের বাস্তবসম্মত ও লাইভলিহুডভিত্তিক স্কিম গ্রহণের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সঠিক উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল করতে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও জানান, লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্টে মোট বরাদ্দের ৪০% ব্যয় করা হবে এবং প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বরাদ্দকৃত ৫৩০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের মাঝে যথাযথভাবে বণ্টন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভান্তে প্রজ্ঞানন্দ মহাথের, বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভিক্ষুগণ এবং সমাজের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।