logo

সময়: ১২:১৮, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

কুবিতে ‘Data Governance and Interoperability’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত  

Ekattor Shadhinota
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | সময়ঃ ১০:০৫
photo
কুবিতে ‘Data Governance and Interoperability’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত  

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘Data Governance and Interoperability’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

সেমিনারে প্রধান অতিথি ও কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ তোফায়েল আহমেদ এবং সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মাহমুদুল হাছান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা)  ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন,, ‘লালমাই সফটওয়্যার ইনোভেশন পার্কে ইতোমধ্যে নানা হার্ড ফ্যাসিলিটি তৈরি করা হয়েছে। তবে সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্ক্রিপ্ট আকারে জানায় কোন কোন বিষয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, আমরা সেটি উন্নয়ন করে আগামী তিন মাসের মধ্যেই হস্তান্তর করতে পারব। এই হাবের মাধ্যমে স্থানীয় প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং গবেষণার সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

 

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিক সুরক্ষা ও মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের এ আইন নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, ‘আমরা একসাথে অনেক কাজ শুরু করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটিই কার্যকর হয় না। প্রয়োজন হলো টেকসই পরিকল্পনা, যাতে একটি উদ্যোগ নিলে তা পরবর্তী বছর বাতিল না হয়ে যায়। ডেটা রিডান্ডেন্সির সমস্যায় আমরা বারবার পড়ছিভোটার তালিকার জন্য তথ্য নেওয়া হয়, আবার কিছুদিন পর আদমশুমারির জন্য একই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এভাবে নীতিমালা তৈরি করতে হবে, যাতে একই কাজ বারবার না হয় এবং ভবিষ্যতে কেউ আগের উদ্যোগকে বাতিল করতে না পারে।

 

এছাড়া বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার কোনো বিশ্বাসযোগ্য তৃতীয়পক্ষ বা কার্যকর আইনি কাঠামো নেই। ফলে কেউ প্রতারিত হলে তার টাকা ফেরত পাওয়ার সহজ পথ নেই। পাঁচ হাজার টাকা প্রতারিত হলে মামলা করতে গিয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হয়ে যায়, তাই মানুষ ক্ষতিটাই মেনে নেয়।

 

ফলে দেশের গরীব ও অশিক্ষিত মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। ইভ্যালির মতো অনেক প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি টাকা লুট করে পালিয়ে যাচ্ছে কেবলমাত্র আইনি কাঠামোর অভাবেই।

 
 
 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…