কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আইকিউএসি (IQAC) কর্তৃক ‘Curriculum Design and Implementation’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হযদার আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের মাননীয় সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম কবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল এবং কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
প্রশিক্ষণটি পবিত্র কুরআন পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন সিলেবাস অনুযায়ী পড়ালেখা করেছি। তখন কোনো কনটেন্ট ছিলো না। সেখান থেকে ধীরে ধীরে আমরা ক্যারিকুলামে এসে গেছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এখন অনেক ভাল। তিনি বলেন, ‘কোয়েশ্চেন’ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা শিক্ষকতার প্রথম জীবনে তেমন কিছু পাইনি। এখন বিভিন্ন সাইট রয়েছে, যেখান থেকে সাজেশন নেয়া যেতে পারে। একদিনের একটি ট্রেনিং প্রোগ্রাম যথেষ্ট নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, তবেই শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, জাতি উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে বিভাগগুলো এখনো ওবিই-তে আসতে পারেনি, সে বিভাগগুলোকে ওবিইতে আনার জন্য জন্য তিনি আইকিউএসিকে আরো মনিটরিং করার পরামর্শ দেন এবং যে বিভাগগুলো ওবিইতে আছে তাদেরকে মূল্যায়ন করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে বলেন। এছাড়াও ওবিই বাস্তবায়নে যে গ্যাপগুলো আছে তা ফিলাপ করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন, যেকোন একটি ক্যারিকুলাম ডিজাইন করতে জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে কিনা, দৃষ্টিভঙ্গি কি, মূল্যবোধ কি ইত্যাদি বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হয়। যুগোপযোগী, নীতি-নৈতিকতার মানদণ্ড, নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তিগুলোকে জাগ্রত করার জন্য আমাদেরকে স্ট্যান্ডার্ড ডেভোলাপ করতে হবে।