logo

সময়: ১০:৩০, বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

অবৈধ বিদ্যুতে চলে পদ্মাপাড়ের অর্ধশতাধিক স্ট্রিট ফুডের দোকান

Masud Rana
২৩ আগস্ট, ২০২৩ | সময়ঃ ১০:০৮
photo
অবৈধ বিদ্যুতে চলে পদ্মাপাড়ের অর্ধশতাধিক স্ট্রিট ফুডের দোকান

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ের টিবাঁধ, সিঅ্যান্ডবির মোড় ও ফুলতলা এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে চলে অর্ধশতাধিক স্ট্রিট ফুডের দোকানের ফ্রিজ ও লাইট। এসব দোকানের কোনোটিতেই নেই মিটার। সরাসরি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে চলছে তাদের ব্যবসা।
অবৈধ এই সংযোগে একদিকে যেমন বাড়ছে প্রাণহানির ঝুঁকি অপরদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। যেখানে বাসাবাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে সেখানে এতগুলো অবৈধ সংযোগ কীভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। অনেকেই বলছেন, নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছে এই ব্যবসা।
নগরীর টিবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা দেছে, বাঁধের গ্রোয়েনের মধ্যে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও সেখানে চলছে রমরমা ব্যবসা। সেখানকার রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ নেওয়া হয়েছে টি গ্রোয়েনের স্ট্রিট লাইটে সরবরাহ করা সঞ্চালন লাইন থেকে। অনেকে লাইন কৌশলে একটু দূর থেকে নেওয়া হয়েছে যেন কেউ বুঝতে না পারেন লাইনের উৎস কোথায়।
টিবাঁধে আইসক্রিমের ব্যবসায়ী মোঃ মনির দাবি করেন, এসব লাইন বাড়ি থেকে টানা হয়েছে। তারা বাড়ি থেকে লাইন টেনে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। তবে লাইনের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় তা রাস্তার বৈদ্যুতিক বাতির জন্য টানা সংযোগ থেকে নেওয়া হয়েছে।
একই অবস্থা নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড় থেকে সিমলা পার্কের দুইপাশ জুড়ে। তবে সেখানে নামমাত্র একটি মিটার দিয়ে লাইন সরবরাহ করা হচ্ছে সবগুলো দোকানে। এখানে ছোট-বড় মিলে অন্তত ৫০টি দোকান আছে। তাদের অনেকেই কৌশলে ব্যবহার করছেন সরকারি বিদ্যুৎ। নগরীর ফুলতলা মোড়ের নদীর ধারে সব দোকানেই ব্যবহার হচ্ছে সরকারি বিদ্যুৎ।
সিঅ্যান্ডবি মোড়ের দোকানি মাসুদ রানা বলেন, আমাদের এখানে একসঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। আমরা সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহার করি না। মিটার কোথায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, মিটার ওইদিকে আছে। তবে সেখানে থেকে কোনো তার তাদের দোকানে আসতে দেখা যায়নি।
রাজশাহী নগরীর টিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা সুজন আলী বলেন, আমাদের এখানে অনেক আগে থেকেই এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। এটি সবাই জানে। কিন্তু কেউ কিছু বলে না। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা এগুলো জানে। তবে তারা এগুলো নিয়ে কোনো কাজ করে না।
এ বিষয়ে রাজশাহী নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, অনেক সময় আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে একটি মিটার থেকে অন্য লাইন ব্যবহার করতে দিই। এটি আসলে ঠিক না তবে মানবিক কারণে করতে দিই। কিন্তু সরাসরি ব্যবহার এটি ঠিক না। বিষয়টি আমরা দেখছি।
 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…