logo

সময়: ০২:৪০, সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

মাষ্টার রুল কর্মচারী রাশেদ চাঁদা বাজি করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন 

Ekattor Shadhinota
১০ এপ্রিল, ২০২৫ | সময়ঃ ১০:৩৮
photo
মাষ্টার রুল কর্মচারী রাশেদ চাঁদা বাজি করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন 

বিশেষ প্রতিনিধি:

নোয়াখালী সদর উপজেলার পিআইও এর অধিন্যাস্ত মাষ্টার রুল কর্মচারী আব্দুর রহমান রাশেদ এর বিরুদ্ধে তার চাকুরীর শুরু থেকে অদ্যাবধি ঘুষ, দুর্নীতি ও ফসলি জমি থেকে  জোর করে মাটি উত্তোলন এবং চাঁদা বাজির বহু অভিযোগ উঠেছে।  

তথ্য সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের দুলালের ছেলে আব্দুর রহমান রাশেদ। তিনি এক মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলেও সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সাথে থেকে, ও দলীয় প্রভাব বিস্তার করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে হয়েছেন কলাগাছ। হালে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, ৩ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ির মালিক অন্যের কবরস্থান দখল সহ বহু টাকার মালিক বনে ধরাকে স্বরাজ্ঞান করে চলেছে তার কর্মযজ্ঞ। রাশেদ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন ছাড়াও তার প্রতিবেশিরা। সদর উপজেলা পি.আইও এর অধিনে মাষ্টার রুলে কর্মরত থাকার সুবাধে সরকারী ত্রাণ, ঘর ও সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বিক্রি করে নিজের প্রবাসী আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বন্টন করতে কৃপনতা করেননি এই রাশেদ। ত্রাণের জিনিস বিলি করূ হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যার কারণে প্রবাসে থেকেও সরকারি ঘরের মালিক বনে গেছেন দুই/চারটি পরিবার।  

তথ্য সূত্রে আরও জানা যায়, তার ঘরের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা সরকারিভাবে উপজেলা থেকে বরাদ্ধ হলে সে নিজে করছে বলে কারও কাছ থেকে সিমেন্ট, বালু ও অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরিশেষে যারা দিতে পারেননি, এই রাস্তায়  চলাচলের জন্য তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী শুরু করেন। সেই রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে গত ২৬/০৩/২০২৫ সালে তার প্রতিবেশি (মোঃ নুরুল হক (৫০) পিতাঃ মৃত সফিক উল্যাহ, সাং-পূর্ব রাজারামপুর, ৪ নং ওয়ার্ড, কাদির হানিফ) এর সাথে। নুরুল হক তার বাড়িতে রান্নাঘর নির্মাণের জন্য সিমেন্ট নিয়ে তার নিজস্ব মাইক্রোবাস যোগে বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন। এই সময় নুরুল হকের স্ত্রী তাকে ফোন করে জানায় উপরোক্ত রাশেদ তার বাড়িতে এসে ঘর নির্মাণ করতে হলে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। বিষয়টি শুনে নুরুল হক দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রাশেদ গালাগালি শুরু করে ও হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। গত ২৭/০৩/২০২৫ ইং ঘটনার সময় বাড়িতে প্রবেশ করার সময় রাশেদ সহ ২/৩ জন চাঁদার দাবীতে পথ রুদ্ধ করে এবং গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে তখন গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পূর্বপাশে গর্তে পড়ে যায়। এই নিয়ে মোঃ নুরুল হক বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় ১টি অভিযোগ দাখিল করিলে থানা কর্তৃকপক্ষ মোঃ শাহ আলমকে ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। শাহ আলম সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ফিরে আসেন এবং অদ্যাবধি রিপোর্ট দেননি। এই বিষয়ে শাহ আলমের কথা হলে তিনি আরও তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাশেদ এই পর্যন্ত বহু লোক থেকে চাঁদা আদায়, জোর পূর্বক জমি রেজিস্ট্রি করে টাকা না দেওয়া ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া সহ বহু অভিযোগ পেয়েছেন। এলাকা ঘুরে জানা যায়, এক সময় ভবঘুরে রাশেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করে কোনো এক নেতার মাধ্যমে মাস্টার রুলে পিআইও সেকশনে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কোটি টাকার সম্পদ খরিদ করেছেন। যার মধ্যে আব্দুল হাই থেকে ১৭ শতাংশ। পেয়ার আহমদ থেকে ২২ শতাংশ। আবু থেকে ৩০ শতাংশ। নিজাম উদ্দিন থেকে ৬ শতাংশ। আবু ছায়েদ থেকে ৬ শতাংশ ছাড়াও নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তি মালিক বনে গেছেন। তা ছাড়া ভাঙ্গা ঘর এ থাকা রাশেদ এখন আলিশান ৩ তলা ফাউন্ডেশন বাড়ী করেছেন কোটি টাকা ব্যয় করে। 

এই বিষয়ে সদর উপজেলার পিআইও আবুল কালাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, বিষয়টি অবগত হয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। স্থানীয় সরকার বিভাগের রাস্তা সম্পর্কে কাদির হানিফ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  অভিয্ক্তু রাশেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা করতে বাড়তি কিছু টাকা খরচ হওয়ায় আমি তাহা এলাকাবাসীর কাছে দাবি করি।

ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন, অবৈধ জমি দখল, প্রবাসীদের মধ্যে সরকারি ঘর বন্টন, সৌর বিদ্যুৎ অর্থ নিয়ে বিলি ও গত ৬ বছরে এতো অর্থ সম্পদ ও গাড়ি বাড়ির মালিক হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ কেটে দেন।

 

বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে..

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…