মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাব পুরানাপৈল শাখায় গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ তুলে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে ওই ব্যাংকে ধরনা দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী দুজন কৃষক আমিনুর রহমান ও হাফিজুলের লিখিত অভিযোগে জানা যায় পূর্বে তারা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাব পুরানাপৈল শাখায় ঋণ নিয়ে ছিল। ওই ঋণ ২০২৩ সালে তারা পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে রশিদ নিয়ে আসে। পরিশোধের রশিদ নিলেও পরবর্তীতে তারা ঋণ নিবে সে কারনে ব্যাংক থেকে কাগজপত্র ফেরত নেয়নি। পরে তারা ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংকে গেলে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক তাদের দুইজনের নামে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৩৩ টাকা পুনরায় লোন দেওয়া হয়েছে বলে জানান। পরে তারা নতুন করে ঋণ নেইনি বললে কাগজপত্র দেখতে চাইলে ব্যাংক ম্যানেজার ও সুপারভাইজার তাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। এক পর্যায়ে তারা পুরানাপৈল ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের কাগজপত্র দেখালে কাগজ পত্রে দেখা যায় ঋণ গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্রে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে ঋণ বিতরন করা হয়েছে। স্বাক্ষরিত কাগজ পত্রের কোন মিল নাই। পরে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে এলাকার আরো অনেকের নামে এধরনের ভুয়া ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তাদের দাবি এসবের সাথে ব্যাংকের সুপারভাইজার, ক্যাশিয়ার, শাখা ব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধানকে তারা দায়ী করেন।
ভুক্তভোগী দুই কৃষক প্রতিকার চেয়ে রাকাব রাজশাহী হেডঅফিস, দুদক বগুড়াও জয়পুরহাট আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কে লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং শনিবার স্থানীয় প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে রবিবার সকাল থেকে ওই শাখায় গিয়ে ভুক্তভোগীকে ধরনা দিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে রাকাব পুরানাপৈল শাখা ব্যবস্থাপক আজমেরি খাতুন ও সুপারভাইজার আবু সাঈদ মল্লিকার সাথে জানতে চাইলে তারা ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতার কথা আংশিক স্বীকার করে কাগজপত্র না দেখিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
পরে রাকাব জয়পুরহাটের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক জাফর আলী মল্লিকের সাথে টেলিফোনের যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা তদন্ত রিপোর্ট দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।