logo

সময়: ০১:১৯, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০১:১৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ খবর

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্ধসঢ়;্ধসঢ়;যাপন

Ekattor Shadhinota
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ | সময়ঃ ১০:৪২
photo
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদ্ধসঢ়;্ধসঢ়;যাপন

ইসলামাবাদ, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩:
আজ ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও
আনন্দমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদ্ধসঢ়;্ধসঢ়;যাপন করেছে। এ উপলক্ষে হাইকমিশন
প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের সকল
কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গ, এ অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন।
দূতালয় প্রাঙ্গণ বিজয় দিবসের ব্যানার, পোস্টার ও রঙিন বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়।
সকালে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতালয় প্রাঙ্গণে
হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ
করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। ৫২তম মহান বিজয়
দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ
করা হয়। আলোচনা পর্বে হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও এর তাৎপর্য তুলে
ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষে ড. জয়নুল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের সম্মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি
গৌরবান্বিত বোধ করেন। পাকিস্তানে কর্মকালীনও তিনি বাংলাদেশী হিসেবে অনুরূপ
সম্মান পাচ্ছেন। সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ১৬
ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক গৌরবোজ্জল দিন। তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের। বিশেষভাবে স্মরণ
করেন দুই লক্ষাধিক মা-বোনদের, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে সম্ভ্রম হারিয়েছিলেন বা
নির্যাতিত হয়েছিলেন। তিনি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর
মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের বিদেশী বন্ধু, শহিদ পরিবারের সদস্য ও
সকল স্তরের জনগণকে, যারা এ বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে স্বপ্নযাত্রা
শুরু হয়েছিল, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্যেমে তা পূর্ণতা পায়। নয়
মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এ দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাক হানাদার
বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর
বুকে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের।
হাইকমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত ‘সোনার বাংলা’
বিনির্মাণে সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য
কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’
বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বনির্ভর, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানে
নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ
হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সকলকে যার যার অবস্থানে
থেকে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার তার বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির
সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আনন্দ ক্রীড়া
প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে
আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণ এবং অতিথিদের মাঝে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…