logo

সময়: ১০:৫৭, সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ খবর

রাজশাহী নগরীতে ৪টি পরিবারকে হয়রানি ও মির্কামারি এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিক্রয়তার অভিযোগ

Masud Rana
১২ অক্টোবর, ২০২৫ | সময়ঃ ১০:১৩
photo
রাজশাহী নগরীতে ৪টি পরিবারকে হয়রানি ও মির্কামারি এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের নিক্রয়তার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার
মিরকামারি এলাকায় সিরাজুল ইসলাম কালু ও তার ভাই সাবেক ডিবি
এসআই হাসানের সোর্স ও সাবেক আওয়ামী লীগ কর্মী মেরাজের
বিরুদ্ধে চারটি পরিবারকে চরম হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এই দুই ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো
আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোঃ গোলাম মুর্তুজা, আবুল হোসেন, মোঃ মিলন শরিফুল
ইসলাম সাদেরের অভিযোগ, মোঃ বাবলু সিরাজুল ইসলাম কালু ও মেরাজ
চলাচলের রাস্তায় প্রাচীর তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী
শহীদ বাদী হয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই এলাকার
পাশ্ববর্তী বিবাদী বাবুল মোর্তুজাকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের
করেন (মামলা নং-পি/২০২৫)। আদালতের নির্দেশে কাটাখালি থানার এসআই
মোঃ আনোয়ার হোসেন উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
তবে প্রাণের ভয়ে মেরাজকে মামলার অন্তভুক্ত করেননি বাদী। পরবর্তীতে স্থানীয়
নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রাচীরটিকে অন্যায় নির্মাণ বিবেচনা করে তা
ভেঙে দিয়ে রাস্তাটি পুনরায় উম্মুক্ত করে দেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কালু ও মেরাজ মামলার বাদীর মামী
ফাইমার গলায় রামদা ধরে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীরা আরও
অভিযোগ করেন, মেরাজের বিভিন্ন কর্মকাÐ সম্পর্কে কাটাখালি থানা
পুলিশ অবগত থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এমনকি,
সম্প্রতি মেরাজের তদবিরে বালুর স্ত্রীর দায়ের করা একটি অভিযোগ পুলিশ
গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়, এতে ভুক্তভোগীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম
দিয়েছে।
এর আগেও দুই ভাই কালু ও মেরাজের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন
নামের এক ব্যক্তির সীমানা প্রাচীর ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায়
একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত
হয়েছিল। তখন ভুক্তভোগীরা থানায় গেলেও ওসি মামলা না নিয়ে একটি
সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার পর
থেকে কালু ও মেরাজ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং থানায় তাদের অবাধ
যাতায়াত ও পুলিশের সঙ্গে সখ্যতা স্থানীয়দের চোখে পড়ে।
এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মেরাজ নিজেকে টাঙ্গাইলে
আছেন বলে দাবি করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে, স্থানীয়দের মধ্যে আরএমপি কাটাখালী থানা পুলিশের সাথে মেরাজের
গভীর সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে। মেরাজের বাবা শাহাদ আলীকে একজন
গাঁজা ব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের
সোর্স হওয়ার সুবাদে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযান চালানো হয় না।

এ বিষয়ে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিনের
কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। বলেন,
মিরকামারি এলাকার মেরাজ নামের কোনো সোর্সের সাথে পুলিশের
সখ্যতার বিষয়টি তার জানা নেই। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে
বলে ওসি দাবি করলেও, শাহাদ আলীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নেওয়া
হবে কিনা, সে বিষয়ে তিনি কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি।#

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…