জুলাইয়ের পরে তারা এই সরকারকে সর্বোতভাবেই সমর্থন করেছে। দলটার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। জামায়াত চাইলেই আন্দোলনে যেতে পারতো। বড় আন্দোলন ঘটানোর সামর্থ্য জামায়াতের আছে— এতে কেউ দ্বিমত করবেনা।
জামায়াতের আরেক নেতা— এটিএম আজহার। এখনো জেলে বন্দী আছেন। তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছেনা। বার বার শুনানি পেছানো হচ্ছে। অথচ তার বিরুদ্ধে যারা সাক্ষ্য দিয়েছিল, তারা বলছে— এটিএম আজহার নির্দোষ। হাসিনা আমাদেরকে জোর করে, জীবনের ভয় দেখিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য নিয়েছে।
জামায়াত আন্দোলনে যায়না কেন— এজন্য জামায়াতের লোকেরাই জামায়াতকে গালিগালাজ করেছে। তবুও জামায়াত অস্থিরতা সৃষ্টি করে নাই।
জামায়াত ১৯৯১ সালেও এমন ব্যালেন্স রেখেছে। বিনা শরিকানায় তারা বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছে। জামায়াত ১৯৯৬-তে বিএনপিকে সমর্থন দেয় নাই। আমার মতে, এর কারণ দুইটা— সেকালের শাহবাগীদের ফাঁদে পড়ে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব নিয়ে তালবাহানা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার না মানা।
এখনো, এই ক্রান্তিকালে আমরা দেখতে পাচ্ছি— জামায়াতের রোল সবচে বেটার। তারা অভুত্থানের সরকারকে বিপদে ফেলে নাই। বরঞ্চ, শাহবাগী শর্ত মেনে জামায়াতকে রাজনীতি করতে হবে, ইসলামী রাষ্ট্রকল্প ছাড়তে হবে— ইত্যাদি বলে জামায়াতকে মাইনাসের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলমান ছিল।
এরপরেও জামায়াত স্থিতিশীল। ব্যালেন্সড পলিটিক্স, আদালতের প্রতি আস্থা, সরকারের প্রতি আস্থা— সবই তারা দেখিয়েছে। এরপরেও জামায়াতকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ— এটা পুরোপুরি ভারতীয় প্রকল্প।
দেশবাসীর উচিত— জামায়াতকে নিয়ে ভাবা। হোয়াট ইজ জামায়াত ফর বাংলাদেশ, এইটা নিয়া রিথিংক করতে হবে। জামায়াত মাইনাসের যে কোনো প্রকল্প ধূলিস্যাৎ করতে না পারলে রাজনীতির মাঠে ব্যালেন্স থাকবেনা।