logo

সময়: ০৪:৪৪, বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় গাড়ি চালক ফেডারেশনের বাণী  জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত রাজশাহীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দুইজনকে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণ'' শীর্ষক চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার একমাত্র পলাতক আসামি ফিরোজ শেখ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে

এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও চীনের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী  

Ekattor Shadhinota
১৭ জানুয়ারী, ২০২৪ | সময়ঃ ১০:২৮
photo
এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও চীনের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী  

ঢাকা১৭ জানুয়ারি২০২৪খ্রি. বুধবার।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পরেও পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি-ফ্রি-কোটা-ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য চীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।

পাটজাত পণ্য আমদানির পাশাপাশি পাটশিল্প এবং চামড়া শিল্প খাতে বিনিয়োগের জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও এসময় জানান প্রতিমন্ত্রী।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে এসব কথা জানান তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেনবাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখমুখি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে। বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট-পিটিএ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য চীন সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এসময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন চীন বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী। এই চুক্তি সম্পাদিত হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

আহসানুল ইসলাম বলেনদেশের পাট ও চামড়া উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুই খাতের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাট ও চামড়া শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানানদেশে ঈদুল আজহার দিন এককোটির বেশি পশুর চামড়া ছাড়াও সারাবছর প্রচুর পশুর চামড়া সংগৃহিত হয়। যথেষ্ট লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় এগুলো দ্রুত প্রসেসিং করা সম্ভব হয় না। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। চামড়া খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার চামড়াজাত শিল্পের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি চামড়া শিল্পের উন্নয়নে চীন সরকারকে বাংলাদেশকে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানসহ এ খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেনপাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নতি করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের বর্ষ পণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাট ঐতিহ্যগতভাবেই দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। পাট থেকে তৈরি সব পণ পরিবেশবান্ধব ও ব্যবহার উপযোগী।

 তিনি বলেনচীনে বাংলাদেশী আমকাঁঠাল ও পেয়ারা ছাড়াও মানসম্মত তাজা খাবারচিংড়িকাঁকড়া এবং ঈল মাছের চাহিদা থাকায় এসব পণ্য আরো বেশি রপ্তানি করার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়া অন্যান্য কৃষি পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালস রপ্তানিরও আহবান জানান।

আহসানুল ইসলাম জানানকরোনা মহাসংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য সরবরাহ ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর সকল দেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটা সফল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সাক্ষাতকালে চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করে পাট শিল্পে অফুরন্ত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ থেকে পাট পণ্য আমদানি এবং এখাতে বিনিয়োগের করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…