logo

সময়: ০৫:৩২, রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪

২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ খবর

রাজশাহীতে বৃক্ষ হত্যার প্রতিবাদে শোক সভা অনুষ্ঠিত  হাঁস-মুরগীর খাদ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্রোমিয়াম(ঈৎ) ব্যবহার হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়ায় রংপুর জেলার ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৭টি নমুনা পরীক্ষণের জন্য ঢাকায় প্রেরণ রংপুর জেলার পীরগঞ্জ এর চতরা হাটে অবৈধভাবে নকল ও নিম্নমানের বসুন্ধরা ব্রান্ডে গমের ভূষি উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরণ করায় প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের  বাংলাদেশ সম্মিলিত ডিপ্লোমা চিকিৎসক পরিষদ (নোয়াখালী) শপথ বাক্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। চুয়েটে ”উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা" শীর্ষক সেমিনার ও ইটিই বিভাগের ১৮ ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন  ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে  

অধিভুক্ত কলেজসমূহে ই-জার্নাল একসেস নিশ্চিতের উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের    

Mashiur Rahaman
২১ মে, ২০২৪ | সময়ঃ ১০:০৭
photo
অধিভুক্ত কলেজসমূহে ই-জার্নাল একসেস নিশ্চিতের উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের    

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য ই-বুক এবং ই-জার্নাল একসেসের সুযোগ নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।  তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজসমূহকে পর্যায়ক্রমে ই-জার্নাল, ই-লাইব্রেরির একসেসের আওতায় নিয়ে আসা হবে।  ২১ মে ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার সকালে ঢাকাস্থ জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) সম্মেলন কক্ষে ‘একসেস টু ই-রিসোর্স ফর এনহ্যান্সিং একাডেমিক এন্ড রিচার্স এক্সিলেন্স’ শীর্ষক কর্মশালায় সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।   জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে এবং ইউজিসির তত্ত্বাবধানে বিডিরেনের কারিগরি সহায়তায় দুইদিনব্যাপী কর্মশালা ২০ মে ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়।

শিক্ষকদের উদ্দেশে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল সারাদেশের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীকে ই-বুক এবং ই-জার্নাল একসেস সুবিধার আওতায় নিয়ে আসব।  অর্থসংস্থানসহ কাজটির সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত ছিল।  কিন্তু কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আইডিজিপ্রাপ্ত কলেজের সঙ্গে নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি ছিল।  বিডিরেনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রাথমিক পর্যায়ে আইডিজিপ্রাপ্ত কলেজগুলোতে ই-বুক, ই-জার্নাল একসেস প্রদান করা হবে।  এরপর পর্যায়ক্রমে সকলকে এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, আমাদের কলেজগুলোতে দুইটি বড় সমস্যা হচ্ছে- নিম্নমানের গাইড এবং গবেষণাধর্মী বইয়ের অভাব। ভালোমানের বই পড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। এ সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।  আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রথমে শিক্ষকদের ডিজিটাল সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। এছাড়া লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এবং সিইডিপির মাধ্যমে ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীকে এই সেবার আওতায় নিয়ে আসা। আগামী মাস থেকে এলএমএস ও রিসোর্স হাব চালু হবে। এর মাধ্যমে আমরা চাইব ই-জার্নাল এবং ই-বুক থেকে বাছাইকৃত আর্টিকেল নিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন কনটেন্ট সম্বলিত ক্লাস লেকচার তৈরি করবেন। যেটা আমরা এলএমএস এবং রিসোর্স হাবে আপলোড করতে পারব। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষকরা যেমন মানসম্মত ক্লাস লেকচার তৈরি করতে পারবেন পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও ই-জার্নাল এবং ই-বুকে প্রবেশ করে গুণগত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।

দুর্লভ ও মূল্যবান ই-রিসোর্সে প্রবেশ নিশ্চিত করতে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় ইমারল্ড ইনসাইটস এর ১৯৭টি জার্নালসহ বিপুল সংখ্যক তথ্যভাণ্ডরে প্রবেশের কৌশল বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণের ফলে কলেজগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। এতে পাঠদানকারী শিক্ষক বিষয়ের ওপর ‘লার্নিং প্যাক’ তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

২দিনব্যাপী ৪টি সেশনে সম্পূর্ণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন। সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কর্মশালায় সহযোগিতা প্রদান করেন বিডিরেনের সিইও তাওরীদ আহমেদ।

স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেমের সভাপতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) জগন্নাথ বড়–য়াসহ বিষয় বিশেষজ্ঞবৃন্দ এবং কর্মশালায় আইডিজিপ্রাপ্ত ১২০টি কলেজের প্রত্যেকটি কলেজ থেকে ১জন শিক্ষক ও ১জন গ্রন্থাগারিকসহ ২৪০জন শিক্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…