তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ^রদী ॥ গতকাল রবিবার ২৭ আগস্ট/২৩ ভারতের নতুন দিল্লির তাজ প্যালেসে তিনদিন ব্যাপি জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ‘বিট-২০ সামিট ইন্ডিয়া (R.A.I.S.E) শীর্ষ সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে । ভারত-বাংলাদেশসহ ৩৭ টি দেশে দায়িত্বশীলতা,ত্বরান্বিত, উদ্ভাবনী,টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা প্রসারের বিষয়কে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,বিজিপির মহাসচীব ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহ। এ অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশে^র ৩৭ টি দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বস্ব দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেত্রবৃন্দরা অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর (আইবিসিসি) সভাপতি ও নিটল টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ ও তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ২০ জন বিশিষ্ট ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। এদের মধ্যে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর (আইবিসিসি) সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল আজিজ, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর (আইবিসিসি) সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম রিসোর্ট স্বপ্নদ্বীপ ও খায়রুল গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ খাইরুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানে নিটল টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ সম্মেলনে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স-এর নেতৃত্বে, বাংলাদেশের নারীরা কীভাবে জীবিকা অর্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিট্যালাইজেশনের আরেকটি দিক হল ডিজিটাল পরিচয় যা সেক-আধার লক্ষ লক্ষ নেড ইন্ডিয়ানদের প্রদান করেছে, তিনি বলেন, "আধারের মাধ্যমে, আপনি ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন- একটি ডিজিটাল পরিচয় নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল যে কেউ একজন আধার আইডি খুঁজে বের করে একটি "ডিজিটাল আছে- নেই। " প্যানেলিস্টরা ডিজিটাল লেনদেনের জন্য বেছে নেওয়ার সময় শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োাজনীয় উত্তরগুলিও পতাকাঙ্কিত করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার ২৫ আগস্ট/২৩ শুক্রবার সকালে ভারতের নতুন দিল্লির তাজ প্যালেসে তিনদিন ব্যাপি ‘বিটু সামিট ইন্ডিয়া শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারী পুর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ৩৭ দেশের মধ্যে ভারতের অগ্রাধিকার এবং সুপারিশ বিশে^র জন্য ভারত থেকে কিকি সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় গুরুত্ব পায়। গ্লোবাল পাবলিক অর্জনে সম্মিলিতভাবে কীভাবে পণ্যের প্রসার ও ব্যবসা করা যায় তানিয়ে পুর্ণাঙ্গ অধিবেশনে আলোচনায় স্থান পায়। স্থিতিস্থাপকদের জন্য সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নে এআই ব্যবসার জন্য সুযোগ সৃষ্টি,অন্তর্ভুক্ত জিভিসি বিশ^বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। বৈশি^ক ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে আফ্রিকান অর্থনৈতিক একিকরণের বিষয় আলোচিত হয়। ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধন,অনুন্ত জনসংখ্যা স্বাগত সংবর্ধনা এবং গ্লোবাল ইকোনোমিক এর জন্য অর্থায়ন পুনিরুদ্ধার,প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন,বিবর্তিত বৈশি^ক ভ’-অর্থনৈতিক দৃশ্যকল্প, অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়ন,ব্যবসার স্থিতিস্থাপকতার জন্য ইএসজি: এ বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গি,টেকসইতা ও উন্নয়ন প্রয়োজনীয়তা এবং আইএসএসবি স্ট্যান্ডার্ডের ভুমিকা’নেওয়ার্কিং ডিনার,ভারতের ডিজিটালের সুবিধা প্লাটফর্ম,সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করণ কাজের ভবিষ্যত,দক্ষতা এবং গতিশীলতা নিয়ে অধিবেশন ব্যাফি আলোচনায় স্থান পায়। এছাড়াও গ্লোবাল ইম্পেরেটিভস শক্তির পরিবর্তন ত্বরান্বিত করার বিষয় বিশেষ সমাপনীতে স্থান পায়। সম্মেলনে রাতে ডিনার ও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এদিকে ঈশ^রদী থেকে বি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মাতলুব আহমেদ এবং ঈশ^রদীর এক হালি শিল্পপতিসহ ২০ জন শিল্পপতি বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়ায় ঈশ^রদীর ব্যবসায়ী মহল থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।