গত ২৫/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় মালয়েশিয়া প্রবাসী ভিকটিম আল-আমিন (২৮)’কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে মেয়ে দেখানোর জন্য নিয়ে গিয়ে ফেরার পথে দুপুর অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার রাখালগাছি এলাকায় পৌছালে ভিকটিমের নিকট দাবীকৃত মাদক সেবনের টাকা ভিকটিম না দেওয়ার জেরে আসামী মো: আব্দুস সালাম ঠান্ডু (৩৫)’সহ সঙ্গীয় অপরাপর আসামীগণ ভিকটিমকে গুরুতর আঘাত করতঃ ঘাড় মটকিয়ে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মামা লিটন কাজী (৩৫)’সহ পুলিশের একটি দল ভিকটিমের লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে গোয়ালন্দ থানার মামলা নং- ৩৯, তারিখ- ২৬/০৪/২০২৫ইং, ধারা- ৩৮৫/৩৮৭/৩০২/২০১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/১১৪/৩৪/১৪৩ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত মামলার আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গতকাল ০১/০৫/২০২৫ তারিখ র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-১২ এর সহযোগীতায় পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা ও সাঁথিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী ১. মো: আব্দুস সালাম ঠান্ডু (৩৫), পিতা- মৃত আলো মৃধা, সাং- কোমরপুর, থানা- আমিনপুর, জেলা- পাবনা এবং মামলাটির তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২. মো: জুয়েল রানা (৪০), পিতা- মৃত নায়েব আলী, সাং- চক আব্দুস শুকুর, থানা- আমিনপুর, জেলা- পাবনা’দ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।