logo

সময়: ০৬:৩৭, মঙ্গলবার, ০৩ জুন, ২০২৫

২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

আটোয়ারী উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের এতিমখানার অনুদানের অর্থ ছাড়ে গড়িমসি।

Ekattor Shadhinota
২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | সময়ঃ ১১:২৩
photo
আটোয়ারী উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের এতিমখানার অনুদানের অর্থ ছাড়ে গড়িমসি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :- বেলাল পল্লী শিশু উন্নয়ন এতিমখানায় ৯ মাস ধরে মিলছে না সরকারি ক্যাপিটেশন বরাদ্দের অর্থ। এতে এতিমখানায় অধ্যয়নরত  এতিম শিশু অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

photo

আটোয়ারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং গড়িমসিতে গত নয় মাসের বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে এতিমখানার ক্যাপিটেশন বরাদ্দের অর্থ। এতে সুবিধাভোগী দুস্থ শিশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে এতিমখানার মুহতামিম এবং পরিচালক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ।  এতিমখানার শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে ক্যাপিটেশন বরাদ্দ পায়। এদিকে দুস্থ অসহায় এবং এতিম শিশু পাঠ গ্রহণ করছে। এতিমখানাটি ক্যাপিটেশনের আওতায় রয়েছে।
সূত্র জানায়, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৬ মাস অন্তর ক্যাপিটেশনের বরাদ্দ ছাড় দেওয়া হয়। সর্বশেষ বরাদ্দ ছাড় দেওয়া হয়েছিল গত জুলাই । রীতি অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ দিকে এতিমদের বরাদ্দ ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো মেলেনি ক্যাপিটেশনের বরাদ্দ। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ। যথাসময়ে বরাদ্দের অর্থ না পেয়ে এতিমখানায় সঠিক নিয়মে খাদ্য সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে  চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
 এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম,  বলেন ধারদেনা করে আমরা এখন প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। যথাসময়ে বরাদ্দের অর্থ না পেয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। বিধি অনুসারে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের বরাদ্দের অর্থ ছাড় দেওয়ার কথা। কিন্তু তারপরও নয় মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা বরাদ্দের অর্থ পাচ্ছি না। প্রধান শিক্ষক বলেন এতিমখান নিবাসীদেরকে নিয়ে যে কত সমস্যায় আছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সরকারি অনুদান পায় বলে এসব প্রতিষ্ঠানে সামাজিক অনুদান অনেক কমে গেছে। তাই সরকারি বরাদ্দের ওপরই আমাদের অনেকটা নির্ভর করতে হচ্ছে।
  নিবাসীদের খাবার জোগাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। বিভিন্ন দোকানপাট থেকে বকেয়া রেখে রেখে নিবাসীদেরকে কোনোরকম চালাচ্ছি। বরাদ্দের অর্থ না পেলে আমরা চরম সংকটে পড়ব। আমাদের চরম এ সংকটের বিষয়ে উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার  মহোদয়কে জানিয়েছি। উনি বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন।
পঞ্চগড় জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক  জানানো হয়েছে।  চলমান সংকট উত্তরণ যেন ক্যাপিটেশনের টাকা প্রতিষ্ঠানটি পেয়ে যায় সেই লক্ষ্যে  সহযোগিতার জন্য এলাকাবাসী ব্যক্তিবর্গ ব্যবস্থা গ্রহণের  জন্য অনুরোধ করেছেন। পঞ্চগড় জেলা, আটোয়ারী উপজেলা, বামনকুমার গ্রামে অবস্থিত  বেলাল পল্লী শিশু উন্নয়ন মাদরাসা ও এতিমখানাটি জেলা সমাজসেবা পঞ্চগড় ২০২১ সালে নিবন্ধ হয় যার নিবন্ধন নং পঞ্চ- ২১৭/২০২১ এতিমখানাটি অত্র এলাকার এতিম অসহায় দুস্হ শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে অগ্রণী  ভূমিকা পালন করে আসছেন। অত্র এলাকার কিছু কুচক্র মহল এতিমখানাটি কে বিতর্কিত করার জন্য অন্যয়ভাবে। বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপবাদ ছড়ায়, পরবর্তীতে শিক্ষার  মান উন্নয়ন বাধা সৃষ্টি করে। আবাসিক এতিমদের জন্য বরাদ্দকৃত  অর্থ  সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দশ মাস যাবত কোন অনুদান উত্তোলন করা হয় নাই,  বর্তমানে এতিমখানা টি এলাকা বাসি ও উদ্যোক্তাদের  আর্থিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী তারা দ্বারা সুনামের সাথে  পরিচালিত হয়ে। কিছুদিন যাবত বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় দানকারী দুষ্ট প্রকৃতির সুবিধাবাদী  ও  নামধারী সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষকদের কাছে চাঁদা  দাবি করে আসছে। এর প্রতিবাদ করলে, বিভিন্ন রকমের হুমকি দেয় প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দিবেন। পেপারে নিউজ করে দিবে।  আমরা নিজেদের অর্থায়নে  কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানটা পরিচালনা করতেছি। সেই দুঃখের কথা না প্রকাশ করে হায়রে বাঙালি এখানে দুর্নীতি করার কি আছে এতিমের টাকা কে খাবে আমার কমিটির একটা লোকও  একফোঁটা পানি পর্যন্ত খায় না।

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…