logo

সময়: ০৪:৪০, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ খবর

চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ওপর অমানবিক নির্যাতন শিক্ষকের

Masud Rana
০৫ মে, ২০২৪ | সময়ঃ ১০:১৭
photo
চুরির অপবাদ দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ওপর অমানবিক নির্যাতন শিক্ষকের

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে। করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (৪ মে) বাগমারা থানায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা রহিদুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন । তার ছেলে মোহনগঞ্জ আলিয়াবাদ ক্বওমি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বয়স ১১ বছর।
অভিযোগে রহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে আবাসিক শাখায় থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মিথ্যা অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের হুজুর আবু হুরাইরা (৩৫) ছেলেকে লাঠি দ্বারা এলোপাতারি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে জখম করে। পরবর্তিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে বলে আপনার ছেলে একটি অপরাধ করেছে। আপনি মাদ্রাসায় এসে বিষয়টি জেনে শুনে মীমাংসা করে দিয়ে যাবেন।
এরপর বুধবার (১ মে) সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ শুনতে পাই। আমার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইলে কর্তৃপক্ষ নিয়ে আসতে দেয়নি। ঘটনা সন্দেহজনক হওয়ায় পরের দিন আমি পুনরায় মাদ্রাসায় গিয়ে আমার ছেলেকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। শনিবার (৪ মে) আমার স্ত্রীর কাছে ছেলেকে মারধরের প্রমাণ পাই।
তিনি অভিযোগে আরও বলেন, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আবু হুরাইয়া আমার শিশু সন্তানকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করেছে। এই ঘটনা না জানানোর জন্য তাকে কসম-সহ বিভিন্ন ধরনের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নিয়েছে এবং তার চিকিৎসা পর্যন্ত করায়নি।
তিনি বলেন, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করলে আমাকে জানাতে পারতো। কিন্তু হুজুর আবু হুরাইয়া তার উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিও করা হয়েছে।
মোহনগঞ্জ আলিয়াবাদ ক্বওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস আলী বলেন, এই ঘটনা আমাদের মাদ্রাসার জন্য খুবই লজ্জাজনক। আমরা ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সেই সাথে যে শিক্ষক এই কাজ করেছেন আমরা তাকে বহিস্কার করেছি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, শনিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় না থাকায় তাকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হবে বলেও জানান ওসি।
 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…