স্পোর্টস ডেস্ক :- দাসুন শানাকার সেঞ্চুরির পরও হার এড়াতে পারেনি শ্রীলংকা। মঙ্গলবার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ৩০২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ২২ রানের জয় পায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।
এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২৯৬/৯ রান করেও হেরে যায় সফরকারীরা। মঙ্গলবারের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার শেষ ম্যাচে যারাই নিজেদের সেরাটা উজার করে দিতে পারবে তাদের সামনেই সুযোগ থাকবে সিরিজ জয়ের।
মঙ্গলবার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজ বাঁচাতে দৃঢ় পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক ক্রেক আরভিন, সিকান্দার রাজা, শেন উইলিয়ামস ও রাগিস চাকাভার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের পাহাড় গড়ে জিম্বাবুয়ে।
দলের হয়ে ৯৮ বলে ১০ চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন আরভিন। ৪৬ বলে চারটি বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৫৬ রান করেন সিকান্দার রাজা। ৫৬ বলে ৪৮ রান করেন শেন উইলিয়ামস। ৫০ বলে ৪৭ রান করেন রাগিজ চাকাভা।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিক শ্রীলংকা। ১৪.৩ ওভারে প্রথমসারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে শ্রীলংকা।
সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক দাসুন শানাকা ও কামিন্দু মেন্ডিস। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ১২০ বলে ১১৮ রানের জুটি। তাদের এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে শ্রীলংকা। ৮২ বলে ৫৭ রান করে ফেরেন মেন্ডিস।
এরপর চামিকা করুনারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ বলে ৬৬ রানের দায়িত্বশীল জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন দাসুন শানাকা। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ৩৬তম ম্যাচে মেইডেন সেঞ্চুরি হাঁকান শানাকা। ৯৩ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে পরের বলেই ক্যাচ তুলে নিয়ে দলীয় ২৪৭ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি।
জয়ের জন্য শেষ ৩২ বলে শ্রীলংকার প্রয়োজন ৫৬ রান। দাসুন শানাকা আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন লংকার লেজের ব্যাটসম্যানরা।
শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে কাঙ্খিত জয় তুলে নিতে পারেনি শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানে ইনিংস গুটায় স্বাগতিকরা।