logo

সময়: ০৩:৪৫, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ খবর

শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এক ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন

Masud Rana
১৩ আগস্ট, ২০২৩ | সময়ঃ ০৯:৫৭
photo
শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে এক ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিতু নামের এক ছাত্রী। তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ভুক্তভোগী ছাত্রী তিতু। তিনি নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার দোহালি গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ এর কন্যা।  
রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৫টায় রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকের সহযোগীতা চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী তিতু। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আমি এবং আমার তিনজন সুমি ইসলাম তোহা, তানহা, নেহার বিরুদ্ধে নগরীর উপকন্ঠ দামকুড়া থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। দামকুড়া থানার মামলা নাম্বার ৫, তারিখ (১১ আগস্ট)। মামলাটি বাদী হেনা ফাউন্ডেশনের মালিক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মনিরের ভাই সৈয়দ মেহেদী হাসান।  
রবিবার (১৩ আগস্ট) ওই মামলায় আমি বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাই। এরপরই আমি সংবাদ সম্মেলনের লক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপস্থিত হই। মামলায় প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করেছে। মূল ঘটনা হচ্ছে আমি সহ আমারা সকলেই হেনা ফাউন্ডেশনের অফিসে বেতনভূক্ত  স্টাফ ছিলাম। সে আমাদেরকে ছয় মাস যাবত কোন বেতন দেয় হয়নি। বেতন চাইলেই বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হতো। পরে আমরা বেতনের জন্য চাপ দেই। সেই বেতন মেরে খাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই। মামলাটি সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে তদন্তের দাবি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী তিতু। এই মর্মে আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহাদয় এবং দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জের সূদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। 
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। প্রকৃত ঘটনা হলো তিতুরা আমাদের কোম্পানীতে চাকরি করছে মাত্র ২ মাস। গত মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের বেতন পাবে। ঘটনার দিন আমি ব্যক্তিগত কাজে চাপাইনবাবগঞ্জে ছিলাম। ওই দিন আমার ছোট ভাই মনিরকে তিতুরা ও তাদের ভাড়াটিয়া ১০/১৫জন গুন্ডাবাহীনি নগরীর অলোকার মোড় অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা দামকুড়া থানার বালিয়া এলাকায় একটি পরিত্যাক্ত ঘরে আটকিয়ে মারধর করে এবং আমাকে ফোন দিয়ে বিকাশে মুক্তিপণ দাবি করে। আমি দ্রুত রাজশাহী এসে পুলিশের সহযোগীতা নিই এবং অপহরণকারীদের বলি আমার ভাইকে নিবো এবং সরাসরি টাকা দিব। এ সময় তাদের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে আমার ভাইকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সময় ঘটনাস্থল থেকে তিতুদের ৩জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা আটক করে পুলিশ। পরে আটকৃতদের বক্তব্য অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে দামকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
 

শেয়ার করুন...

আরও পড়ুন...

ফেসবুকে আমরা…