নির্বাচনকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
নির্বাচনকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে

কামরুর কুদ্দুস রেইনি ঃ (প্রবাস থেকে) বাংলাদেশে ইনসাফ প্রতিষ্টার লড়াই অব্যাহত থাকবে, যতদিনে
পরিপুর্ন ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হয়। ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক ওসমান আল হাদি কোটি মানুষের অন্তরে
ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বানী পৌছেদিয়েছিল। হাদিকে হত্যা করলেও কোন অসুভ শক্তি জনগনকে ইনসাফ
প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে বিরত রাখতে পারবে না। একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের লড়াই ছিল ইনষাফ প্রতিষ্টার লড়াই।
সাম্যতা, সামাজিক ন্যায় বিচার , মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই ছিল মুক্তিযদ্ধের মৌলিক লক্ষ্য। একই
লক্ষ্যে বাংলাদেশের তরুন জনতা ২০২৪ এর জুলাইয়ে বৈসম্যবিরোধী আন্দোলন কার্য্যকরী করে ইনসাফ
প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মোচন করে। ছাত্র জনতার বৈসম্য বিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যায়ে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক
শেখ হাসিনার পতন ঘটায়। এরপর ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শহীদ হাদির কন্ঠে উচ্চারিত হয় ইনসাফ
প্রতিষ্ঠার বানী। হাদি মুলত ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ১৩ তম জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছিল ঢাকা ৮ আসন থেকে। উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনে মাফিয়া চক্রের আদিপত্য
থেকে দেশকে মুক্ত করা।নির্বাচনে হাদির প্রচারাভিযানের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন।এবরের নির্বাচনে হাদির
দৃষ্টিভঙ্গি সারা দেশে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল।যার কারনে হাদিকে সরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু হাদিকে হত্যা
করে হাদির নীতি আদর্শ বন্ধ রাখা যাবে না।
কাজেই নির্বাচনকালীন সময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সেনাবহিনী,বিজেবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনছার বহিনীসহ সকল গোয়েন্দা বাহিনীকে ইলেকশন সেন্টারে
মেতায়েন রাখতে হবে। দেশের জনগন যেন নির্বাচনে কারচুপির কোন অভিযোগ তুলতে না পারে সে
বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনে স্বচছতা প্রমান করতে হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরের ইতিহাসে
আগামী ১৩ তম জাতীয় নির্বাচনে জনগন স্বচছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। অতএব, সরকার ও
নির্বাচন কমিশনকে ভোট গ্রহন, ভোট গননা ও ফলাফল প্রকাশ থেকে শুরু করে নির্বাচনের সর্বোস্তরের
কার্যক্রম জনগনের কাছে স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশীবিদেশী
ষঢ়যন্ত্রকারীরা ভোটের ফলাফর নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। একই লক্ষ্যে
নির্বাচনে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে হাদিকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।অতএব, আমরা মনে
করি,আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে দেশে গনতন্ত্র আরো
সুসংহত হবে। নিজ নিজ দলের আদর্শ বজায় রেখে অনেকগুলো দল নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হলে
দেশ আরও শক্তিশালী হবে।
তবে আবারও বলছি, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বহিনীকে মেজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে
মোতায়েন রাখতে হবে। অন্যথায় জনগন অন্তবর্তি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমা করবে না।যে অশুভ
শক্তি বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায় সে রাষ্ট্রটির সর্বোগ্রাহী চক্রাš এখনওÍ
অব্যাহত রয়েছে। একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, দেশীবিদেশী অশুভ শক্তির বিষয়ে জনগনকে সদাসর্বোদা
অতন্দ্রপ্রহরীর ন্যায় স্বজাগ থাকতে হবে।