বিভাগীয় আন্তঃকলেজ ফুটবল ফাইনালে ট্রাইবেকারে চ্যাম্পিয়ন বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজ

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
বিভাগীয় আন্তঃকলেজ ফুটবল ফাইনালে ট্রাইবেকারে চ্যাম্পিয়ন বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা কলেজ

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃকলেজ
ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় নাটোরের বিলচলন শহীদ
শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয় করেছে।
দর্শকদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি, নাটকীয় গোল, লাল কার্ড ও
ট্রাইবেকার সব মিলিয়ে ফাইনাল ম্যাচটি পরিণত হয় এক স্মরণীয়
ফুটবল লড়াইয়ে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি
স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে নাটোরের বিলচলন শহীদ
শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের মুখোমুখি হয় সিংড়া দমদমা
পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই দল আক্রমণ ও
পাল্টা আক্রমণে খেলায় গতি আনে।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ফুটবলের ছাপ রাখে বিলচলন শহীদ
শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ। প্রথমার্ধের সপ্তম মিনিটে
কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় দলটি। খেলার ১৬ মিনিটের মাথায় হঠাৎ
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাঠের পরিস্থিতি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ম্যাচ
রেফারি মোসাদ্দেকুল কুদ্দুস দুই দলের দুই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড
দেখান। সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩ নম্বর
জার্সিধারী রিফাত হোসেন এবং বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা
সরকারি কলেজের ৭ নম্বর জার্সিধারী শুভ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
এতে উভয় দলই দশজন খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ চালিয়ে যায়।
লাল কার্ডের ধাক্কা সামলেও বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি
কলেজ আক্রমণের ধার কমায় নি। প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে দলের পক্ষে
দ্বিতীয় গোলটি করেন ৪ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় রাকিবুল।
তার শক্তিশালী শট গোলরক্ষকের হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়। ২-০
গোলে এগিয়ে থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রথমার্ধ শেষ করে
বিলচলন কলেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে
সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মাঝমাঠে চাপ বাড়িয়ে
তারা একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। এর ফল মেলে ৫৩ মিনিটে।
দলের ১০ নম্বর জার্সিধারী খেলোয়াড় ফাহাদ হোসেন একটি
দৃষ্টিনন্দন গোল করে ব্যবধান কমান। গোলের পর ম্যাচে নতুন করে

প্রাণ ফিরে আসে। এরপর ৫৯ মিনিটের মাথায় নাটকীয়ভাবে
সমতায় ফেরে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। দলের ১২ নম্বর
জার্সিধারী খেলোয়াড় আবদুল্লাহ বিন কাফি সুযোগ কাজে
লাগিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। নির্ধারিত ৬০ মিনিটের খেলা
শেষ হয় ২-২ গোলের সমতায়। ম্যাচের ফল নির্ধারণে আশ্রয় নিতে
হয় ট্রাইবেকারের। স্নায়ুচাপের এই মুহূর্তে অসাধারণ দক্ষতার
পরিচয় দেন বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের
গোলকিপার। প্রতিপক্ষের একাধিক শট ঠেকিয়ে তিনি দলের জয়ের
পথ সুগম করেন। শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে ৩-১ গোলে জয় নিশ্চিত
করে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা
সরকারি কলেজ।
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয়
প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে এবং যুব ও ক্রীড়া
মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে রাজশাহী
বিভাগের আটটি জেলার মোট ১৬টি কলেজ অংশগ্রহণ করে।
ফাইনাল খেলা শেষে
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত
থেকে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এ সময়
তিনি তরুণদের খেলাধুলায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান
জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহা.
সবুর আলী, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা
ক্রীড়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, ক্রীড়া পরিদপ্তরের সাবেক
উপপরিচালক আখতারুজ্জামান রেজা তালুকদার রুমি এবং নাটোরের
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানসহ বিভিন্ন সরকারি-
বেসরকারি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।