ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে প্রায় এক বছর ধরে গৃহবধূ মোসা: রেহানা (২৮) ও তার স্বামী আরিফ খলিফা (৩৫) ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। উক্ত ভবনেই আরিফ খলিফা নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রেহানা ও তার স্বামী আরিফের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে *গত ১১/১২/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩.৩০ ঘটিকা থেকে বিকাল আনুমানিক ১৭.৩০ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময়* পারিবারিক কলহের জেরে আরিফ খলিফা তার *স্ত্রী রেহানাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। * ঘটনার পর আশপাশের ভাড়াটিয়াদের ডেকে আরিফ খলিফা মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায় যে তার স্ত্রী স্ট্রোক করেছে এবং দ্রæত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক রেহানাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর আরিফ খলিফা মৃতদেহটি পুনরায় বাসায় নিয়ে এসে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ডিসিস্ট রেহানার মামা শাহিন আকনকে ফোন করে জানায় যে রেহানা গুরুতর অসুস্থ। শাহিন আকন বাসায় এসে রেহানাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান ও মৃতদেহে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করে তার সন্দেহ আরও গভীর হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মরদেহ ডিসেস্টের বাড়িতে পৌঁছানোর পরপরই স্বামী আরিফ খলিফা পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাটি রহস্যজনক ও সন্দেহজনক হওয়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনার পর ডিসিস্টের বাবা বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নং- ৩৬, তারিখ- ১৫/১২/২০২৫ খ্রি., ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।
*গতকাল ১৬/১২/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১৯:৫৫ ঘটিকায়* র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় সিএমপি, চট্রগ্রামের বন্দর থানাধীন ধুমপাড়া এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি *মো: আরিফ খলিফা (৩৫),* পিতা- আব্দুল মান্নান খলিফা, সাং- রাজাপুর (চডিখোলা), থানা- রাজাপুর, জেলা- ঝালকাঠি’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।