টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ পৃথিবী গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিতে হবে: নোবিপ্রবি ভিসি

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
টেকসই উন্নয়ন ও সবুজ পৃথিবী গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতৃত্ব দিতে হবে: নোবিপ্রবি ভিসি

পরিবেশ সুরক্ষা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্বের ভূমিকায় আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি)  ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণার সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নীতি ও চর্চা সংযুক্ত না হলে টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

আবদুল বাসেদ নোয়াখালী:আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর এসিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের হলরুমে এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড গ্রিনার আর্থ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানের কনভেনর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহরুজ্জামান।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল তার বক্তব্যে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হওয়া উচিত সততা, স্বচ্ছতা, মেধা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে। প্রশাসনের কাজ হবে শিক্ষা ও গবেষণাকে সহায়তা করা, নিয়ন্ত্রণ করা নয়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সবুজ ক্যাম্পাস, দায়িত্বশীল সম্পদ ব্যবহার ও গবেষণাভিত্তিক নীতিনির্ধারণে অগ্রাধিকার দেয়, তাহলে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাস্তব পরিবর্তন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, তরুণ গবেষক ও শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মানদণ্ডে চিন্তা করার পাশাপাশি স্থানীয় পরিবেশগত সমস্যার বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, সবুজ রসায়ন ও টেকসই জ্বালানির মতো খাতে গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
এসিএস ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার ঢাবি ও এসিএস ইন্টারন্যাশনাল কেমিক্যাল সায়েন্স চ্যাপ্টার অব বাংলাদেশ আয়োজিত  দিনব্যাপী এ সম্মেলনে পরিবেশ বিজ্ঞান, সবুজ রসায়ন, শক্তি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সেশন, কীনোট বক্তৃতা, ওরাল ও পোস্টার উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের গবেষক, একাডেমিশিয়ান ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।