“দরকার একটি আধুনিক শিক্ষা কমিশন” -প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ১৬ আগস্ট, ২০২৫
“দরকার একটি আধুনিক শিক্ষা কমিশন” -প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০২৫: আজ সকাল ১১.০০টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই)-এর আয়োজনে “বাংলাদেশে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

 

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, দেশকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নিডফুল এডুকেশন বা চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।  এ ধরনের শিক্ষাই কেবল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তব্যকালে তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের কোন গুণগত উন্নতি হয়নি।  আমরা বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছি।   

 

তিনি আরো বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা একসময় বাংলাদেশের মতই ছিল কিন্তু আজ সেই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।  আর এর জন্য চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষার একটি বড় অবদান রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য সিলেবাস পরিবর্তন এর কাজ হাতে নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।  

 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই)-এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে সামাজিকভাবে নিম্নতর শিক্ষা মনে করার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। তিনি সাংবিধানিকভাবে একটি শিক্ষা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও মেধার যথার্থ মূল্যায়নের জন্য তিনি ট্যালেন্টপুল গঠনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার না করতে পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

 

সেমিনারের মূল-প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ কামরুল আহসান। মূল প্রবন্ধে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়ার সমন্বয়ের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর এ কে আজাদ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)-এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সাঈদ ফেরদৌস।

 

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও চাহিদাভিত্তিক করে গড়ে তোলার জন্য কারিগরি, প্রযুক্তিগত ও পেশাভিত্তিক শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গবেষণা সহযোগিতা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং শিল্প-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তাঁরা।

 

এছাড়াও সেমিনারে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার, শিক্ষাবিদ, নীতি নির্ধারক ও গবেষকবৃন্দ অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরআই-এর সদস্য সচিব সৈয়দ রেজওনুল কবির।