“বাঙালী ও বাংলাদেশী সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই”- উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ   

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
“বাঙালী ও বাংলাদেশী সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই”- উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ   

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা” ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, “বাঙালী জাতির সংস্কৃতি হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ একটি সংস্কৃতি। আমাদের এই সংস্কৃতিকে আমরা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা আছে তা দিয়ে সারা বাংলাদেশে আমাদের প্রায় আড়াই হাজার কলেজে আমরা বাঙালী ও বাংলাদেশী সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে চাই। ”

 

তিনি আরো বলেন, “গত ১৫-১৬ বছর আমরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি যা থেকে গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পেয়েছি। সেই মুক্তিটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ” 

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি দিতে চাই। আমরা আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেশন জট নিরসন হবে। একই সঙ্গে আমি আমার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ালিটি এডুকেশন প্রদানের প্রতি জোর দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে কলেজগুলোতে মনিটরিং ও অডিটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এভাবেই আমরা সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছি। আমরা বাঙালী ও বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবো।”  

 

আজ ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দুপুর ১১.০০ টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এর নেতৃত্বে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন-ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা” আয়োজন করা হয়। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। রঙিন সাজে সজ্জিত শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। 

 

শোভাযাত্রা শেষে একাডেমিক ভবনের সিনেট হলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল ইসলাম এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ টি এম জাফরুল আযম। সমাপনি বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এবং গণমানুষের শিল্পী মৌসুমী চৌধুরী এবং পরান আহসান। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।