কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে একটি গণবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটেছে। জালিম সরকার দীর্ঘ ১৬ বছরে দেশকে জাহান্নামে পরিণত করেছে। দেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যা তারা ধ্বংস করেনি। দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ প্রশাসন, আইন-আদালত এবং ব্যাংক-বিমাসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশ আজ খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। এমতাবস্থায় জাতিগঠনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ”
১৭ আগস্ট শনিবার যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশের প্রধান অতিথি জনাব মোবারক হোসেন এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ খোন্দকার একেএম আলী মোহসিন, জনাব আব্দুল মতিন, মাওলানা আশেক এলাহী ও ড. আলমগীর বিশ্বাস। বৈঠকে যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের জেলা আমীর ও সেক্রেটারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন আরও বলেন, “অতি সম্প্রতি দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, স্বস্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অতীতের ভুল থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নিতে হবে। মানুষের সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল ছাত্র-জনতার এই গণবিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তারা নাশকতা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ত্যাগ-কুরবানি ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই গণবিপ্লবকে কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। এব্যাপারে জামায়াতের প্রত্যেক দায়িত্বশীল ও দেশবাসীকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। দেশি-বিদেশি কোনো কুচক্রী মহলকেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে চক্রান্তকারীদের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুতে বিশ্বাস করি না। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী সকলেই সমান এবং তাদের অধিকারও সমান। তাই আমরা সকলের প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সেজন্যই আমরা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘর ও সহায়-সম্পত্তি রক্ষায় পাহারা বসিয়েছিলাম। তারপরও একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আল জাজিরা ও বিবিসি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে তাদের অপপ্রচার ভণ্ডুল করে দিয়েছে। আমরা কাউকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দিতে পারি না। আমাদের প্রধান কাজ হলো এই গণবিপ্লবকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাওয়া। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে আমরা যেন সুখ-শান্তি-স্বস্তি এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করতে পারি মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করুন, আমীন।”