মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ০১ জুন ২০২৪ ইং
জয়পুরহাটে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন র্যাংক-রাকাব পুরানাপৈল শাখায় গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণ দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুর রহমান পলাশ ও হাফিজুল। তাদের নামে কাগজপত্র জালিয়াতি করে ঋণ দেখায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের জালিয়াতির সুষ্ঠু বিচার কামনা করেছেন তারা।
শনিবার বেলা ১২ টায় তারা জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগে জানান, পূর্বে আমাদের নামে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-রাকাব পুরানাপৈল শাখায় ঋণ ছিল। তা ২০২৩ সালে আমরা পরিশোধ করে ব্যাংক থেকে রশিদ নিয়ে আসি। পরিশোধের রশিদ নিলেও পরবর্তীতে আমরা ঋণ নিব সে কারনে ব্যাংক থেকে কাগজপত্র ফেরত নেইনি। পরে আমরা ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাংকে গেলে ব্যাংক ম্যানেজার আজমেরি খাতুন আমাদের নামে ২ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা পুনরায় লোন নিয়েছি বলে জানায়। আমরা ঋণ নেইনি বললে ব্যাংক ম্যানেজার. সুপারভাইজার আবু সাঈদ মল্লিক আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে পুরানাপৈল ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের কাগজপত্র দেখায়। কাগজপত্রে ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষর করার স্থানে ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে ঋণ বিতরন করা হয়েছে। আমাদের স্বাক্ষরের কোন মিল নাই। এ ব্যাপারে রাকাব জয়পুরহাট জোনাল অফিসে ভুয়া ঋণ বিষয়ে জানালে জোনাল ম্যানেজার জাফর আলী মল্লিক আমাদের বিষয়টি প্রতিকার না করে বরং আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। ঘটনার বিবরন দিয়ে লিখিত আবেদন রাকাব রাজশাহী হেডঅফিস, দুদক বগুড়া অফিসে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এলাকার আরো অনেকের নামে এধরনের ভুয়া ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এসবের সাথে ব্যাংকের সুপারভাইজার, ক্যাশিয়ার, ম্যানেজার, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকসহ অনেকেই জড়িত আছে বলে আমরা মনে করছি। ভুয়া ঋণ দেখিয়ে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করছি। এছাড়া এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী হাফিজুল, পলাশসহ এলাকার অনেকেই।