বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সুইডেন প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সামাজ সেবক মুনির হামজা এক বিবৃতিতে বরেন, শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার, কেন দরকার ? তা দেশ-বিদেশে সকলের জেনে রাখা দরকার। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পৌছে দিয়েছেন। তিনি ২০২১-৪১ মেয়াদে দেশে একটি সার্বিক উন্নয়নের ভিশন দিয়েছেন। যারা নিতান্তভাবে এবং প্রতিহিংসার বসবর্তি হয়ে শেখ হাসিনার গনবান্ধব সরকারের পদত্যাগ দাবী করেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে দেশ ও জনগনের জন্য কি করেছেন তা জনগন ভুলে যায়নি। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন শরিফের সূরা আল বাকারায় নাযিল করেছেন,”যেনে শুনে সত্য গোপন করিও না, যে সত্য তোমরা অবগত আছ। ” যারা শেখ হসিনার পদত্যাগ দাবী করেন, তারা ক্ষমতায় থেকে দেশ ও জনগনের জন্য কি করেছেন, তা দেশের মানুষ ভাল করেই জানেন। শেখ হাসিনার ব্যর্থতা শুধু তাদের মনমগজে। বাস্তবে তার অভুতপুর্ব উন্নয়ন ও পরিবর্তন সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান। বিরোধীরা জেনে শুনে সত্য গোপন করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার যাঁদুর ছোঁয়ায় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দৃশ্যমান।
মুনির হামজা বলেন, বিগত পনের বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগনের জন্য যা যা করেছেন, বিএনপি তা একশ বছরেও করতে পারতো না। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশে কোন উন্নয়ন বা সমৃদ্ধি ঘটে নাই। তারা শুধু ক্ষমতা উপভোগ করেছে এবং জনগনকে ধোঁকা দিযেছে। দেশে ছিল- সর্বগ্রাসী হওয়া ভবনের দৌরাত্ব। দিনের বেলা দুর্নীতিবাজরা ব্রিফকেচ ভরে কোটি কোটি টাকা নিয়ে আসতো হাওয়া ভবনে। হাওয়া ভবন থেকেই দেশ পরিচালিত হোত। যুবরাজ খাম্বা তারেককে খুশী করার জন্য রাতের বেলা গাজীপুর খোঁয়াব ভবনে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা সুন্দরী রমনীদেরকে নিয়ে আসতো। যুবরাজ রাতভর তাদের নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করতো। যুবরাজের দুর্নীতির তান্ডবে অতিষ্ট ছিল জনজীবন। ২০০১-৫ এর দুর্বিসহ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য দুর্নীতিবাজ জোট সরকার চক্রান্ত করেছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য তারা কতই না অপঃততপরতা চালিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাদের মনোনিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজুদ্দিনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে ক্ষমতায় থাকার অপঃচেষ্টা করেছে। বিরোধীদল নেত্রী থাকা অবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ বার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রীকে হত্যার মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেও আল্লাহর অসীম রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে যান। তার নেতাকর্মিগন মানব ঢাল সৃর্ষ্টি করে তার জীবন রক্ষা করেছিল। আইভি রহমান সহ উক্ত হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪জন নেতাকর্মি নিহত হয়েছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার এসব ন্যাক্কার জনক পরিকল্পনার সাথে তারেক রহমান সহ জোট সরকারের অনেকে জড়িত ছিল।
মুনির হামজা বলেন, ২০০৬ থেকে ২০০৮ এর বিগত দুই বছর মঈন-ফকরুদ্দিনের এক দানবীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জেল-জুলুমের ন্যায় নানারকম চক্রান্ত মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালের শুরুতে বাংরাদেশ আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ক্ষমতায় এসেই তিনি দেশ ও জনগনের কল্যানে এক মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে এগিয়ে যান। ইতিমধ্যে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যার বিচারকার্য শেষ করে অপরাধীদেরকে ফাঁসীকাষ্টে ঝুলিয়ে দেন। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বিচার করে ফাঁসী কার্যকর করেন। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করেন এবং দেশের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনেন। তিনি কঠোর হস্তে হরতাল-অবরোধ বন্ধ করেন। এভবে বিগত ১৫ বছরে দেশে অভুতপুর্ব উন্নয়ন ঘটান এবং দেশকে একটি কল্যানকর রাষ্ট্রে পরিনত করেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চ্যালেঞ্চ করে নিজস্ব অথায়নে পদ্মা সেতুর ন্যায় দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল বাস্তবায়ন করেন। মেট্রো রেলের ন্যায় একটি অকল্পনীয় স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্ভোদনের দ্বারপ্রান্তে। সমুদ্র বিজয়ের পরে এবার গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবয়নের পথে। এলিভেটেড এক্রপ্রেস ওয়ে নামকরনে ৪৬ কিলোমিটারের একটি বিশার ফ্লাইওভার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সম্প্রতি ঢাকা শহরের উপর দিয়ে ১৩ কিলোমটিার ফ্লাইওভার উদ্ভোদন করেন প্যধানমন্ত্রী নিজেই। তিনি বৃদ্ধ ভাতা চালু করেছেন। এমনকি সকলের জন্য পেনশন স্কীম এর কাজ হাতে নিয়েছেন। দেশের বিশ কোটি মানুষকে তিনি পেনশন স্কীমের আওতায় নিয়ে আসবেন ইনশাল্লাহ।
মুনির হামজা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করেছেন। বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করেছেন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ মসজিদ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে ইতিপুর্বে কোন সরকার এভাবে জনকল্যানমুলক কর্মসূচী গ্রহন করে নাই। তিনি সার্বক্ষনিক দেশ ও জাতির কল্যানে নিয়োজিত থাকেন। একমাত্র বঙ্গবন্ধু ব্যতিত অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনার ন্যায় দেশের কল্যানে এত ব্যপক উন্নয়নমুলক কাজ করার উদ্যেগ গ্রহন করেন নাই। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেশের সর্বস্তরে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের যে ছাপ তিনি রেখেছেন তা জাতি কখনই ভুলবে না। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেও তিনি একজন সাধারন বাঙ্গালী পরিবারের নারীর মত সাধারনভাবে জীবনজাবন করে থাকেন। তার মধ্যে কোন অহংকার নেই। একজন সাধারন ধার্মিক মুসলিম নারীর অবয়ব তার চলাফেরায় ফুটে উঠে। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন এবং তাহাজ্জুৎ নামাজ পড়েন। তিনি বাংগালী ষ্টাইলে আপা সম্বোধনকেই পছন্দ করেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ৭৬ বছরের এই পরিনত বয়সেও তিনি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। তিনি যেখানেই জনসভা করেন সেখানেই প্রায় শতাধিক উন্নয়নমুলক প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষনা প্রদান করেন। সম্প্রতি রংপুরে গিয়ে এক বিশাল জনসভায় তিস্তা বাঁধ প্রকল্প সহ একশত প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষনাা প্রদান করেন।
মুনির হামজা বলেন, দেশের মানুষ বলে, শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার ! কিন্তু কেন দরকার ? সে গুরুত্বপুর্ণ বিষয়টি আমি জনগনের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।আশা করি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত আপামর জনগন বিষয়টি অনুধাাবন করতে সক্ষম হবেন ইনশাল্লাহ।
মুনির হামজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিশন বা রূপকল্প ২১ ও ৪১ টার্গেট করে যেভাবে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংরাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে দেশে কোন বিরোধী শক্তি থাকার কথা না। কিন্তু স্বাধীনতার জন্মলগ্ন থেকে যারা স্বাধীনতা নিরোধী তারা তো বিরোধিতর স্বার্থে বিরোধিতাা করবেই। বিএনপি-জামায়াত জোট এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এরা এখন দেশ বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তবে দেশের সাধারন জনগনকে কোন অপঃশক্তি বিভ্রান্ত করতে পারবে না বা বোকা বানাতেও পারবে না। সাধারন মানুষের জনসমর্থন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আছে এবং থাকবে ইনশাল্লাহ।