জসিম উদ্দিন রাজ, সোনাইমুড়ী
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে ২নং নদনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে পশ্চিম গজারিয়া খালপাড়ে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৪ ফুট প্রস্থের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নির্মাণ প্রকল্পের আছে একটি সেতু,নেই কোন সংযোগ সড়ক। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ২০২১/২০২২ইং অর্থ বছরে ৮০,৯৮,১২৩ টাকা চূড়ান্ত ব্যয় নির্মিত হলেও প্রায় ৩ গ্রামের ২১,০০০ লোকের কষ্ট যেন শেষ হচ্ছে না।
প্রতিদিন তারা জীবনের সাথে সংগ্রাম করে হাঁটে বাজারে ও দোকান পাটে আসতে হচ্ছে। ওইসব গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায়,কখনো নৌকা দিয়ে খাল পারাপার,আবার কখনো লুঙ্গি বা অন্যান্য কাপড় ভিজিয়ে আসতে হচ্ছে এপারে। বয়স বৃদ্ধরা মসজিদে নামাজ আদায় করতো কখনো পাড়ি দেন নৌকা দিয়ে, আবার কখনো কাপড় ভিজে এপারে আসেন। সব দিক চিন্তা করে,এলাকার লোক গত কয়েকদিন আগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। সেই বাঁশের সাঁকো থেকেও পড়ে কয়েকজন আহত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। ঐ এলাকার একজন বাসিন্দা আবু তাহের মিয়া জানান,সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে আমরা মসজিদে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। স্বপন কুমার দাস বলেন,ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়া আসা করতেও তাদের অনেক কষ্ট হয়। সমাজসেবক মো.ইস্রাফিল বলেন, আমরা এই সেতুর কোন সুফল পাচ্ছিনা,সংযোগ সড়ক না থাকাতে। তাই আমি কয়েক বার সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আগের জনের কাছে গিয়েছি, সংযোগ সড়কের ব্যাপারে কোন সঠিক উত্তর পাই নাই। এই সেতু করতেও আমরা তৎকালীন অনেক নেতার কাছে গিয়ে ধরনা দিয়েছি এবং আমাদের অনেক অর্থ গিয়েছে এ সেতুর পিছনে। তাই এই বিষয়টি,যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাতে তাদের সুদৃষ্টি দেয় তাহলেও এই তিন গ্রামের মানুষের কষ্ট ও দুর্দশা কিছুটা হলো গুছাবে।
এই বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করালে তিনি বলেন,আমি তখন ছিলাম না। তবে ঐসব গ্রামবাসীকে একটি আবেদন দিতে বলেন। সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নাছরিন আকতার বলেন, আমি নতুন এসেছি এই উপজেলায় তবে বিষয়টি আমি দেখবো।