নেপথ্যে ঢাকা ৩৫নং ওয়ার্ডেও কাজী সেলিম রেজা প্রায় দুই যুগ ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৫ও ৬নং ওয়ার্ডে অস্তিত্বহীন নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২২
নেপথ্যে ঢাকা ৩৫নং ওয়ার্ডেও কাজী সেলিম রেজা প্রায় দুই যুগ ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ৫ও ৬নং ওয়ার্ডে অস্তিত্বহীন নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যক্রম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: প্রায় দুই যুগ ধরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে অস্তিত্বহীন কাজীর নামে চলছে নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মো: মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেখিয়ে এদুটি ওয়ার্ডে নিকাহ রেজিষ্ট্রেশনের কাজ করছেন শামছুদ্দোহা শাকিল। তিনি পৌরসভার লামচরী এলাকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন অনুযায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া আবশ্যক। তবে লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় কাজী মো: মোশাররফ হোসেনের কোন অস্থিত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেলিম রেজা নামের এক ব্যাক্তি ২০০২ সালে নিজেকে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নেতা পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে মো: মোশাররফ হোসেনের নামে কাগজপত্র দাখিল করে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন লাইসেন্স সংগ্রহ করেন এরপর থেকে তিনি শামছুদ্দোহা শাকিলের মাধ্যমে নিকাহ রেজিষ্ট্রির কার্যক্রম পরিচানা করে আসছেন। অফিসের সাইনবোর্ডে ও ভিজিটিং কার্ডে সেলিম রেজার ব্যাবহৃত ০১৭১১-২২১২৮৮ ও  ০১৯৭১-২২১২৮৮ দেওয়া আছে। আরো জানা যায় যে অত্র অফিসের ডিড ও সেলিম রেজার নামে।
সদর উপজেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী এমরান হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের যার নামে লাইসেন্স নেওয়া আছে তাকে আমরা কখনো দেখিনি। তিনি আমাদের সমিতির সদস্যও নয়। জেলা রেজিস্ট্রারের কোন মিটিংএও উনি উপস্থিত হয় না। এখানে শাকিল নামের এক লোক কাজ করেন। ইতি পূর্বে তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে আটক করে সাজাও দিয়েছে। তার পরও সে এই কাজ ছাড়েনি।  এ বিষয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রতিবেদন ছবি সহ প্রকাশিত হয়েছে।
জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, মোশারফ আমার সমন্ধি, পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে তাদের লারীবাড়ী। আমি দেশের নাগরিক ২২বছর থেকে লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা করে আসছি। এগুলো নিয়ে অনেক সাংবাদিক অনেক কিছু লিখছে আবার হাই কোর্টে এসে মাফ চাইছে। টিএনও নুরুজ্জামান আমাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিছে আবার হাই কোর্টে এস মাফ চাইছে। এসময় ক্ষুদ্ধস্বরে তিনি আরও বলেন, আনারা এসব নিয়ে জানার দরকার কি, আপনাদেরকে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে নাকি? 
জেলা রেজিস্ট্রার জানান, সংশ্লি মন্ত্রনালয় থেকে এ বিষয়ে আমার নিকট একটি প্রতিবেদন চেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জানা যায় সদ্য বিদায়ী জেলা রেজিস্ট্রার মিশন চাকমা এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করেন যাহার স্মারক নং ২১৫ তারিখ ২০/০৭/২০২২ইং
পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল খায়ের স্বপন জানান, আমি জানি শাকিল নামের একজন আমাদের ওয়ার্ডের কাজী। আজীম শাহ মার্কেটে তার অফিস। বিয়ে-শাদিতে আমরা তাকেই ডাকি। মোশারফ হোসেন নামে কোন কাজীকে কখনো দেখিনি। এই নামের কাউকে চিনিওনা।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে মোশারফ হোসেনের সাথে বার বার যোগায়োগের চেষ্টা করেও কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
তবে কথিত কাজী শাকিল বলেন, মোশারফ হোসেন কাগজপত্র জমা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছে। উনি কাকে দিয়ে কাজ করাবেন এটা ওনার বিষয়। উনি পৌরসভার লাহিড়ী বাড়ীর বাসিন্দা। আমি ওনার বাবার নাম জানিনা। এ বিষয়ে আপনারা কাজী সেলিম রেজার সাথে কথা বলেন।