ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ আজ

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২২
ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-  ফিলিপাইনের বিদায়ী নেতা রদ্রিগো দুতার্তের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দেশটির পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তিনি।
মার্কোস জুনিয়র ওরফে বং বং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রেদোকে হারাতে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার এই জয়ের মাধ্যমে মার্কোস রাজনৈতিক পরিবারের চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন ঘটে, যা ১৯৮৬ সালে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়ে সারা দুতের্তে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে ম্যানিলার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে শপথ নেবেন মার্কোস জুনিয়র। শতাধিক দেশি ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এতে অংশ নেবেন এবং ফিলিপাইনের রাজধানীজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে ম্যানিলার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, কর ফাঁকির জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া নতুন প্রেসিডেন্ট কার্যভার গ্রহণের অযোগ্য হবেন না।
৬৪ বছর বয়সী এই নেতা এমন একটি সময়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন যখন ফিলিপাইন এখনও এক বছরের দীর্ঘ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠার প্রচেষ্টায় রয়েছে। দেশটির আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণে জর্জরিত।
সমালোচকরা বলছেন, মার্কোস জুনিয়রের নীতি সংস্কারে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং নিত্যপণ্যের দাম ঠেকাতে তার ব্যাপক প্রতিশ্রুতির বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে।
কেউ কেউ আবার দুতার্তের মেয়াদের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মার্কোস জুনিয়রের দিকে তাকিয়ে আছেন।
তবে মার্কোস জুনিয়রের ক্ষমতা গ্রহণের একদিন আগে ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা জানান, তারা অনুসন্ধানী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র‌্যাপলার বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। ফিলিপাইনের কয়েকটি মিডিয়া আউটলেটের মধ্যে র‌্যাপলার একটি, যা রদ্রিগো দুতের্তের সরকারের সমালোচনা করে।
মার্কোস জুনিয়রের অভিষেকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক গৌরব পুনরুদ্ধার করার জন্য মার্কোসেদের এক দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। তার বাবা ফার্দিনান্দ ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার শাসনামলে সামরিক আইন জারি করা, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং দারিদ্র্যতা বেড়ে যাওয়ায় ঘটনা ঘটে।
সেই শাসন ১৯৮৬ সালে শেষ হয়েছিল, যখন একটি গণঅভ্যুত্থানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল এবং ২৮ বছর বয়সী বংবংসহ মার্কোস পরিবার হাওয়াইয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল।
মার্কোস জুনিয়র ১৯৯১ সালে ফিলিপাইনে ফিরে এসেছিলেন, তখন থেকেই তিনি তার পিতার শাসনামলকে সমৃদ্ধির 'সুবর্ণ সময়' হিসেবে চিত্রিত করতে চেয়েছিলেন।