বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিজস্ব  প্রতিনিধি: -শান্তিরক্ষা এখন অনেক চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গণভবন থেকে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।  
বিরোধপূর্ণ এলাকার একটি গ্রাম আক্রমণ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বিরোধপূর্ণ এলাকার স্থবির জনজীবন, জিম্মি শত্রুর কবলে পড়ে। নিরীহ মানুষকে রক্ষায় গ্রামটিতে সামরিক কায়দায় প্রবেশ করেন শান্তিরক্ষা মিশনের যোদ্ধারা। হেলিকপ্টার, ট্যাংক এপিসিসহ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে জীবন বাজি রেখে তারা উদ্ধার করে জিম্মিদশায় থাকা গ্রামবাসীদের। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে কল্পিত এই গ্রামে বহুজাতিক সেনা সদস্যরা, শান্তির অগ্রসেনা শিরোনামে অনুশীলন মহড়া শেষ করলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ভারতের মোট ১২৩ জন সেনা সদস্য। সমাপনী এই আয়োজনে ছিল শান্তিরক্ষায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সমরাস্ত্রের প্রদর্শনী।

আট দিনের এই আয়োজনে শেষ আনুষ্ঠানিকতায় ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উপস্থিতিতেই অনুশীলনে অংশ নেয়া কর্মকর্তাদের সনদ তুলে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে সাত হাজারের বেশি সেনা ও পুলিশ সদস্য ১০টি মিশনে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে মোতায়েন আছে। আমাদের শান্তিরক্ষীরা যে মিশনেই গেছেন জাতিসংঘের পতাকাকে সমুন্নত ও উড্ডীন রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করেছেন। 

দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে আগামী দিনের নতুন সংকটগুলো মোকাবিলাই শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করা এখন সময়ের দাবি। আশা করি, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।'

সামরিক অনুশীলনে অংশ নেয়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।