বন্দরে কিশোর গ্যাং’র হামলায় নারীসহ আহত-৯

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২৩ মে, ২০২১
বন্দরে কিশোর গ্যাং’র হামলায় নারীসহ আহত-৯

বন্দর প্রতিনিধি: 
বন্দরে ইফটিজিং এর প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যং এর হামলায় বাবুর্চিসহ ৯ জনকে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো বাবুর্ছি নূর হোসেন (৪৫) আজহার (৫০) শুভ (২২) হাসান(২৪) রাব্বি (২৩)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল  ও ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।  ২২মে শনিবার সন্ধ্যায় বন্দর ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার রাতেই  আহত নাঈমের ভাই শাকিল মিয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানাগেছে, বন্দর ইউনিয়নস্থ কলাবাগ এলাকায় বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার দিপু মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে মিলন,একই এলাকার বিএনপি কর্মী রনির উশৃঙ্খল ছেলে রায়হানসহ ১০/১২জন কিশোর প্রতিদিনই কলাবাগ এলাকায় কিশোরী মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার কলাবাগ এলাকার স্থানীয় কিশোর নাঈমের কিশোরী বোনকে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যং খ্যাত মিলন-রায়হান গংয়ের লোকজন উত্যক্ত করে। পরে ওই কিশোরী তার ভাই নাঈমকে জানালে তারা এসে ওই ইফটিজারদের সাথে  তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের হোতা বন্দর হাফেজী বাগ এলাকার সন্ত্রাসী মিলন, রায়হান,সানি, সোলায়মান,সাইদুরসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন মিলে নাঈমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় এলাকার প্রতিবেশী বাবুর্চি নূর হোসেন,আজহার, শুভ, হাসান, রাব্বিসহ আরো দুইজন মহিলা এগিয়ে আসলে তাদেরসহ মোট ৯ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে কিশোর অপরাধীরা। আহতদের মধ্যে বাবুর্চি নূর হোসেনসহ এক যুবকের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা বলেন,বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার বিএনপি কর্মী রনির সন্ত্রাসী ছেলে রায়হানের বিরোদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কিশোর গ্যাং খ্যাত সন্ত্রাসী রাযয়হানকে সম্প্রতি বন্দর থানা পুলিশ একটি মামলার ওয়ারেন্টমুলে গ্রেফতার করতে বন্দর হাফেজী বাগ এলাকায় গেলে সন্ত্রাসী রায়হানকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে তার পিতা রনি। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিসহ অশোভন আচরন করার জেরে পুলিশ সন্ত্রাসী রায়হানসহ তার পিতা রনিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছিল। বর্তমানে হাফেজীবাগ এলাকায় কিশোর অপরাধের অভয়ারন্য হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। কিশোর অপরাধ দমনে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও জোরালো ভূমিকা দাবী করছি।