সম্প্রতি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে আরো শক্তিশালি ও কার্যকর করতে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের এই উদ্যোগ ঠিকাতে ঠেকাতে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর পাশাপাশি মিথ্যাচার করছে তামাক কোম্পানি।
আজ বুধবার (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১.০০টায় ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ঠেকাতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর ট্যোবাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুমে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইকোনোমিকসের ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা। ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল এবং সঞ্চালনা করেন বিএনটিটিপি’র সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।
ওয়েবিনারে মূল বক্তব্যে হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে আরো শক্তিশালি করতে সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ; তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলার মাঠ এবং শিশু পার্কের সীমানা থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি নিষিদ্ধ; ভ্রাম্যমাণ দোকানে ফেরি করে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ; ৯০% স্বাস্থ্য সতর্কবাণী; শাস্তি বৃদ্ধি ও পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান না রাখাসহ সময়োপযোগী ও কার্যকর অনেক বিধান যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারেকে বিভ্রান্ত করতে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো অতীতের মতো নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানি সরকারকে বলে, আইন সংশোধন করলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে, অবৈধ সিগারেট বৃদ্ধি পাবে, বহু লোক তাদের কর্ম হারাবে। কিন্তু বাস্তবে এসবের কোনো সত্যতা নেই।
প্রকৃত উপাত্ত তুলেধরে তিনি বলেন, গত একুশ বছরে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ গুন এবং প্রতি ভচরের রাজস্ব আয় পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে বেশি ছিলো। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বা ২০১৩ সালে আইন সংশোধনের পরও এসব বছরগুলোতে রাজস্ব বৃদ্ধির ধারা অব্যহত ছিলো। এছড়া অন্যদিকে এনবিআরের আটককৃত শীর্ষ ১০ পণ্যের তালিকায় সিগারেট নেই। গবেষণা সংস্থা আর্ক ফাউন্ডেশনের এক গবেষণাতে দেখা গেছে, দেশে অবৈধ সিগারেটের বাজার মাত্র ৫.৪ শতাংশ।
কর্মসংস্থান হারানো প্রশ্নে গবেষণার তথ্য তুলেধরে তিনি বলেন, দেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রেতাদের মাত্র ২.৪% ভ্রাম্যমান বিক্রেতা শুধুমাত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করে, সারা দেশে এই সংখ্যা মাত্র ৬৩ হাজার। আর দেশের মোট বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মাত্র ১৮.৫% বিক্রিয়কেন্দ্র অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করে। তামাকজাত দ্রব্য তাদের পণ্যের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ। তাই ১৫ লক্ষ লোক কাজ হারানোর যে গল্প তামাক কোম্পানি বলে তা নির্ভেজাল মিথ্যাচার।
বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে সুশান্ত সিনহা বলেন, বাজেট ঘোষণার কয়েকমাস আগে গণমাধ্যমে অবৈধ সিগারেট উদ্ধারের খবর আসে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিশ্বে যেসব দেশে সিগারেটের দাম সবচেয় কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও সিগারেটের দাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বেশি দামের দেশ থেকে কম দামের দেশে সিগারেট চেরাচালান হয়ে আসবে এই যুক্তি টেকে না। বরং দেশের প্রায় সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে বড় তামাক কোম্পানিগুলোর নিয়মিত সংযোগ রয়েছে। ফলে সব বিক্রিয়কেন্দ্রে তাদের নজরদারি ও পর্যবেক্ষণে থাকায় নকল সিগারেট বিক্রির প্রপাগান্ডা গ্রহণযোগ্য নয়।
বজলুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানি শুধু সিগারেট বা জর্দা, গুল নিয়ে মিথ্যাচার করছে না। ই-সিগারেটের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্যও নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে সম্প্রতি দেশে নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটার বৈধতার জন্যও নানাভাবে মিথ্যাচার করছে এবং প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। দ্রুত যদি নিকোটিন পাউচ উৎপাদন নিষিদ্ধ এবং ই-সিগারেটের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়া হয় তাহলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, তামাক কোম্পানি একেক সময় একেক মিথ্যাচার ও মিথকে টার্গেট করে। সম্প্রতি দেখেছি তারা অবৈধ ব্যবসা নিয়েও খুব প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এ বিষয়ে যতোগুলো গবেষণা দেশে হয়েছে কোনটাতেই এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারপরও ব্যবসা বৃদ্ধি ও নীতিতে হস্তক্ষেপের জন্য চেরাচালান তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে। ফলে সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যাচারে কর্ণপাত না করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।
ওয়েবিনারে ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ দীর্ঘদিন থেকে চলছে। কিন্তু তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ, প্রোপাগান্ডার কারণে সেটা বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে জনস্বাস্থ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেজ্ঞ ও সুশীল সমাজের পক্ষে আমাদের আহ্বান হলো সরকার যাতে দ্রুত আইনটি সংশোধন করে আইনের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আরও শক্তিশালী করে। একইসঙ্গে তামাক কোম্পানির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশত প্রতিনিধিবৃন্দ এ ওয়েবিনার অংশগ্রহণ করেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালিকরণ ঠেকাতে মিথ্যাচার করছে তামাক কোম্পানি
সম্প্রতি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটিকে আরো শক্তিশালি ও কার্যকর করতে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের এই উদ্যোগ ঠিকাতে ঠেকাতে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর পাশাপাশি মিথ্যাচার করছে তামাক কোম্পানি।
আজ বুধবার (০৩ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ১১.০০টায় ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ঠেকাতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর ট্যোবাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) অনলাইন মিটিং প্লাটফর্ম জুমে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব হেলথ ইকোনোমিকসের ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান এবং একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা। ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার হামিদুল ইসলাম হিল্লোল এবং সঞ্চালনা করেন বিএনটিটিপি’র সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।
ওয়েবিনারে মূল বক্তব্যে হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে আরো শক্তিশালি করতে সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধ; তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলার মাঠ এবং শিশু পার্কের সীমানা থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি নিষিদ্ধ; ভ্রাম্যমাণ দোকানে ফেরি করে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ; ৯০% স্বাস্থ্য সতর্কবাণী; শাস্তি বৃদ্ধি ও পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান না রাখাসহ সময়োপযোগী ও কার্যকর অনেক বিধান যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারেকে বিভ্রান্ত করতে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো অতীতের মতো নানা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, তামাক কোম্পানি সরকারকে বলে, আইন সংশোধন করলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে, অবৈধ সিগারেট বৃদ্ধি পাবে, বহু লোক তাদের কর্ম হারাবে। কিন্তু বাস্তবে এসবের কোনো সত্যতা নেই।
প্রকৃত উপাত্ত তুলেধরে তিনি বলেন, গত একুশ বছরে তামাক থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ গুন এবং প্রতি ভচরের রাজস্ব আয় পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে বেশি ছিলো। ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বা ২০১৩ সালে আইন সংশোধনের পরও এসব বছরগুলোতে রাজস্ব বৃদ্ধির ধারা অব্যহত ছিলো। এছড়া অন্যদিকে এনবিআরের আটককৃত শীর্ষ ১০ পণ্যের তালিকায় সিগারেট নেই। গবেষণা সংস্থা আর্ক ফাউন্ডেশনের এক গবেষণাতে দেখা গেছে, দেশে অবৈধ সিগারেটের বাজার মাত্র ৫.৪ শতাংশ।
কর্মসংস্থান হারানো প্রশ্নে গবেষণার তথ্য তুলেধরে তিনি বলেন, দেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রেতাদের মাত্র ২.৪% ভ্রাম্যমান বিক্রেতা শুধুমাত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করে, সারা দেশে এই সংখ্যা মাত্র ৬৩ হাজার। আর দেশের মোট বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে মাত্র ১৮.৫% বিক্রিয়কেন্দ্র অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় করে। তামাকজাত দ্রব্য তাদের পণ্যের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ। তাই ১৫ লক্ষ লোক কাজ হারানোর যে গল্প তামাক কোম্পানি বলে তা নির্ভেজাল মিথ্যাচার।
বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে সুশান্ত সিনহা বলেন, বাজেট ঘোষণার কয়েকমাস আগে গণমাধ্যমে অবৈধ সিগারেট উদ্ধারের খবর আসে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিশ্বে যেসব দেশে সিগারেটের দাম সবচেয় কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও সিগারেটের দাম বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বেশি দামের দেশ থেকে কম দামের দেশে সিগারেট চেরাচালান হয়ে আসবে এই যুক্তি টেকে না। বরং দেশের প্রায় সব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রে বড় তামাক কোম্পানিগুলোর নিয়মিত সংযোগ রয়েছে। ফলে সব বিক্রিয়কেন্দ্রে তাদের নজরদারি ও পর্যবেক্ষণে থাকায় নকল সিগারেট বিক্রির প্রপাগান্ডা গ্রহণযোগ্য নয়।
বজলুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানি শুধু সিগারেট বা জর্দা, গুল নিয়ে মিথ্যাচার করছে না। ই-সিগারেটের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্যও নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে সম্প্রতি দেশে নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটার বৈধতার জন্যও নানাভাবে মিথ্যাচার করছে এবং প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। দ্রুত যদি নিকোটিন পাউচ উৎপাদন নিষিদ্ধ এবং ই-সিগারেটের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়া হয় তাহলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, তামাক কোম্পানি একেক সময় একেক মিথ্যাচার ও মিথকে টার্গেট করে। সম্প্রতি দেখেছি তারা অবৈধ ব্যবসা নিয়েও খুব প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে বিশ্বাস করিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এ বিষয়ে যতোগুলো গবেষণা দেশে হয়েছে কোনটাতেই এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারপরও ব্যবসা বৃদ্ধি ও নীতিতে হস্তক্ষেপের জন্য চেরাচালান তত্ত্ব নিয়ে হাজির হচ্ছে। ফলে সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যাচারে কর্ণপাত না করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া।
ওয়েবিনারে ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ দীর্ঘদিন থেকে চলছে। কিন্তু তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ, প্রোপাগান্ডার কারণে সেটা বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে জনস্বাস্থ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেজ্ঞ ও সুশীল সমাজের পক্ষে আমাদের আহ্বান হলো সরকার যাতে দ্রুত আইনটি সংশোধন করে আইনের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে আরও শক্তিশালী করে। একইসঙ্গে তামাক কোম্পানির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশত প্রতিনিধিবৃন্দ এ ওয়েবিনার অংশগ্রহণ করেন।