মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর খড়খড়ি ললিতাহার
কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকার রেজা কলিস্টোরকে ঘিরে চলছে প্রকাশ্য
মাদক বেচাকেনাÑএমন অভিযোগে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে
স্থানীয়রা। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পারিলা ইউনিয়নের
৯নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবলীগ সভাপতি মোঃ টিপু সুলতান।
স্থানীয়দের বহুদিনের অভিযোগ, টিপু সুলতান ওই দোকানের ভেতর ও
আশপাশের এলাকাকে মাদক বিক্রির নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে
ব্যবহার করছেন। সন্ধ্যার পর মাদকসেবীরা ফোন পেলে কলিস্টোরের ভেতর
থেকে তিনি বা তার সহযোগীরা বের হয়ে চাহিদা অনুযায়ী
মাদক সরবরাহ করেÑএমন দৃশ্য প্রতিদিনই দেখা যায় বলে জানান
এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসিন্দা জানান, টিপুর
মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না। তাকে
প্রশাসনও ম্যানেজ করে রেখেছেÑএমনটাই আমাদের ধারণা।
তাদের অভিযোগ, টিপুর রয়েছে ২০/২৫ জন সহযোগী যারা
নিয়মিতভাবে মাদক সরবরাহ করে। ফলে এলাকা পরিণত হয়েছে
মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে।
রেজা কলিস্টোরের ম্যানেজার খোকনের বক্তব্য জানতে ফোন দেওয়া হলেও
তার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের (২০২৪) ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর
থেকে রাজশাহী নগরীতে মাদকবিরোধী অভিযান প্রায় বন্ধ হয়ে
গেছে, এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাত
রাজশাহীতে এখন কিশোর যুবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কলেজ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী মাদকে
জড়িয়ে পড়ছে।
দূরদূরান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত হওয়ার
বিষয়টি অভিভাবকদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছে গভীর উদ্বেগ।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাবেক যুবলীগ নেতা হওয়া সত্ত্বেও
টিপু সুলতান কীভাবে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেনÑএ
নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে
কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত
উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ গাজিউর রহমান
বলেন, মাদক কারবারী যে-ই হোক, তার কোনো ছাড় নেই। টিপু
সুলতান নামে কারও বিষয়ে আমার আগে কোনো তথ্য জানা ছিল
না। আপনার মাধ্যমে জানলাম, বিষয়টি সত্যিই গুরুতর। চন্দ্রিমা
থানাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি পুলিশ কমিশনার স্যারকেও অবহিত
করা হবে।