বাসে যাত্রী সেজে ইয়াবা পাচার: ২ হাজার ইয়াবাসহ ধরা খেল ১৫ মামলার আসামী

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
বাসে যাত্রী সেজে ইয়াবা পাচার: ২ হাজার ইয়াবাসহ ধরা খেল ১৫ মামলার আসামী


আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পনেরটি মাদক মামলার আসামি মো.জহির হোসেন ওরফে জাইল্লা জহিরকে (৩৪) গ্রেপ্তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।   

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু। এর আগে, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের আমানতপুর গ্রামের তপাদার বাজার এলাকা থেকে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩,  ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথ আভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার মো.জহির হোসেন ওরফে জাইল্লা জহির (৩৫) লক্ষীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর বৈরাগীর বাড়ির মৃত.আব্দুল আলীর ছেলে।   

নোয়াখালী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বলেন, লক্ষীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামের মাদককারবারি জাইল্লা জহির। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে ফেনী থেকে যমুনা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী বেশে বেগমগঞ্জের চৌমুহনী চৌরাস্তা হয়ে লক্ষ্মীপুরে ইয়াবা নিয়ে যাবে। এমন গোপন সংবাদে নোয়াখালী টু লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের আমানতপুর তপাদার বাজারের উত্তর পাশে ফেনী টু লক্ষ্মীপুরগ্রামী যমুনা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালায় র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩,  ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে যাত্রী বেশে বসে থাকা মাদক কারবারি জহিরের দেহ তল্লাশি করে ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।   

 র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ১৫টি মাদক মামলা রয়েছে। সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। আসামিকে উদ্ধারকৃত আলামতসহ বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।