ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার শিক্ষকদের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত-বিনিময় সভা

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২০ অক্টোবর, ২০২৫
ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার শিক্ষকদের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মত-বিনিময় সভা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, অক্টোবর ২০, ২০২৫: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কাজ শুরু করেছে। সারাদেশে বিস্তৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারকাজ এগিয়ে নিতে হবে।

 

আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম এবং ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. শহীদুল্লাহ।

 

কলেজ মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন দপ্তরের পরিচালক সাহাব উদ্দিন আহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন নাসিরাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদ শফিক, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, নেত্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু তাহের, আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শাকের হোসেন, মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. মালেকা বিলকিসসহ অধিভুক্ত কলেজসমূহের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ও কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, শিক্ষাখাতে জিডিপির এত স্বল্প পরিমাণ বরাদ্দ বিশ্বের অন্য কোনো দেশে হয় না। শুধু শিক্ষায় বিনিয়োগ করে বিশ্বের অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌছে গেছে।

 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ইতোমধ্যেই ইউনিসেফসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে কাজ শুরু করেছে, আরো অনেকেই কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ড. আমানুল্লাহ বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সংস্কারে হাত দিয়েছি। বিশেষ করে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নসহ আমরা ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার সম্পন্ন করেছি। আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ চলছে। আমরা এখন দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশের নজীর সৃষ্টি করেছি। বিশ্বের সব ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জিভূত সেশন জটের অবসান হয়। শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিটি আর ইংরেজির দক্ষতা অর্জন ছাড়া কর্মমুখী দক্ষ জনবল তৈরি করা সম্ভব নয়। আমরা এজন্যই এই দুই বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই বারো হাজার আইসিটি শিক্ষক বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা দরকার হলে আর্থিক প্রণোদনা দিতেও কার্পণ্য করবো না।   

 

ভাইস-চ্যান্সেলর ময়মনসিংহে আঞ্চলিক কেন্দ্র, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নূরুল ইসলাম বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার এক বছরের মধ্যে আমরা উল্লেখ করার মতো অনেকগুলো সংস্কার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। সবার সহযোগিতা পেলে অন্যান্য সব সংস্কার কার্যক্রবাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সকল সংস্কার বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

 

মত-বিনিময় সভায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত নাসিরাবাদ কলেজের ছাত্র শহীদ সাগরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।