রাবি শিক্ষকদের হেনস্তার ঘটনায় নোবিপ্রবি প্রশাসনের বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
রাবি শিক্ষকদের হেনস্তার ঘটনায় নোবিপ্রবি প্রশাসনের বিবৃতি

 

আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন। আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক বিবৃতিতে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ) এমন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি করেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিজ ক্যাম্পাসে শারিরীকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন। ওইদিন শিক্ষকদের শারীরিকভাবে আক্রমণ, অর্থ ছিনতাই এবং প্রায় ৮ ঘণ্টা আটক করে রাখা হয়।

নোবিপ্রবি প্রশাসন মনে করে, এমন ঘটনা অমানবিক ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের শামিল, যা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করে এবং শিক্ষকের মর্যাদাকে হানি করে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকদের অনস্থা তৈরি ও শ্রদ্ধাবোধ বিনষ্ট হয়। শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক দাবি সমর্থনযোগ্য। গঠনমূলক দাবি আদায়ে আলোচনা হতে পারে, মতানৈক্য হতে পারে। কিন্তু দাবি পূরণকে কেন্দ্র করে সহিংসতা কাম্য নয়। রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সারাদেশের সচেতন মানুষের মাঝে গভীর উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষকদের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা শুধু শিক্ষকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়, বরং তা পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর একটি হুমকিস্বরুপ। এতে করে শিক্ষকদের শিক্ষা, গবেষণা ও নিয়মিত পাঠদানে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

নোবিপ্রবি প্রশাসন আরও মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাহিরে সর্বত্র শিক্ষকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু শিক্ষকরা যদি নিজ ক্যাম্পাসেই তাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা হামলার শিকার হন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সারাদেশে শিক্ষকতা পেশায় জড়িতদের জন্য ভয় ও আতঙ্কের। এমন পরিস্থিতিতে রাবি শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এবং এ বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে নোবিপ্রবি প্রশাসন।