নোয়াখালীতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদককে অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক | 71shadhinota.com
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৫
নোয়াখালীতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদককে অভিযোগ

আবদুল বাসেদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীতে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদককে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ।  

 

এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ গত ১১/৮/২৫ ইং তারিখে ছনখোলা মাজার কমপ্লেক্সের এরিয়াতে একটি নলকূপ বসানোর একটি আবেদন নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের নিকট যায়। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের কথা না শুনেই নানান ভাবে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি ঐ মুক্তিযোদ্ধার গায়ের দিকে তেড়ে আসেন এবং চরম ভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ গত ১৭/৮/২৫ ইং তারিখে নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন।  

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এখানে যোগদানের কয়েক মাস পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে পুরো অফিসটাকে দুর্নীতির আখড়া খানা তৈরি করেছেন। এ অফিসে যতোগুলো প্রকল্পের টেন্ডার হোক সবগুলোই টেন্ডারের কাজ তার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায়। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের মোট ৭ টি গ্রুপে টেন্ডার হয়। উক্ত টেন্ডারে একাধিক ঠিকাদার দরপত্রে অংশ গ্রহণ করল সর্বনিন্ম দরদাতা কাজ পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা ঠিকাদারকে কাজ পেতে সহযোগিতা করেছেন। যা সরকারি নিয়ম বর্হিভূত ভাবে করেছেন। অভিযোগ উঠেছে তিনি কাজ পাওয়া ঠিকাদার থেকে ১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। যার ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। 

 

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়,  গত ২০২৪ সালের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণের লক্ষ্যে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ আসলে তার বেশির ভাগ টাকা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বিল ভাউচার তৈরি করে আর্তসাৎ করেন। এছাড়াও কাজ পাওয়া ঠিকাদারদের কাজের অনুমোদন ও বিল পরিশোধের সময় অনৈতিক ভাবে ৫% টাকা পিসি মানি বলে বিল থেকে কেটে রেখে দেন। এভাবে তিনি প্রতিটি প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। 

 

এবিষয়ে অভিযুক্ত নোয়াখালী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ না তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।