নোয়াখালী সদর উপজেলা জাল দলিলের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ

শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

নোয়াখালী থেকে আবদুল বাসেদ ঃ নোয়াখালী সদর উপজেলা দুর্নীতিবাজ কথিত দলিল লেখক ও তহসিল অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজসে বিভিন্ন মালিকীয় জমির জাল দলিল করে অথবা দলিল টেম্পারিং করে জমাখারিজ এর মাধ্যমে জমি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তথ্য সূত্র মতে ও এলাকায় সরজমিনের গিয়ে জানা যায় সদর উপজেলা সুধারাম থানায় ৯৩ নং চর সল্যা মৌজার ১১৯২ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় প্রজা আবদুল গোফরান, পিতা- হাজী মফিজ উল্যাহ, মাতা- সাফিয়া খাতুন, সাং-একলাশপুর, থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী গত ১৭/১২/২০০৮ জনৈক আবদুল মালেক, পিতা-আলী আজ্জম, সাং-উত্তর শরীফপুর, থানা-সুধারাম থেকে সাফ কবলা মূলে ১ একর ৯০ শতাংশ জমি খরিদ করেন ও অদ্যবধি যথারীতি ভোগদখলে ও উৎপাদিত ফসলাদি বর্গাচাষী থেকে পাচ্ছেন।

কিন্তু গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় তহসিল অফিসে উপরোক্ত জমির খাজনা দিতে গেলে জমির মালিক দেখতে পান কে বা কাহারা ১ একর ৯০ শতাংশ থেকে ভুয়া দলিল সৃজন করে ৬২ শতাংশ জমি জমাখারিজ করে নিয়ে গেছেন। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে সাথে সাথে তল্লাশি দিয়ে দেখতে পান মোঃ নিজাম উদ্দিন ও আব্দুল করিম, পিতা-তাকছির আহম্মদ, সাকিন ৯৩ সল্যা ১২৮৯ নং দলিল তারিখ-০৮/০৩/২০০১ ইং ১০৭০ দাগে ০.১২ ও ১০৭২ দাগে ০.৫০ একর খরিদ করেন মূলে ২৮/০১/২০১৩ ইং জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন করেন, যাহার নথি নং-৩০১৩/১২১৩ খতিয়ান নং ১৮৯২ এই চক্র ইহা করেই খ্যান্ত হননি। ৯৩ সল্যা মৌজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের এলাকা হওয়া এখানে জমির মূল্য অত্যন্ত বেশি। তাই তাহারা সৃজন করা খতিয়ান থেকে ২২ শতাংশ জমি ৬০ হাজার টাকা মূল্যে আমেনা বেগম, পিতা-মৃত হাজী অজি উল্যাহ, সাকিন ৯৩ সল্যা থেকে বিক্রি করে দেন। গ্রহিতা আমেনা খাতুন আবার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন করেন। যাহার খতিয়ান নং-২১১৬ জমাখারিজ খতিয়ান নং-১৮৬২, ১৪১৫, তাং-২০/১১/২০১৪ইং মুল জমির মালিক স্থানীয় তহসিল অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জমাখারিজের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে যে দলিল পান (১২৮৯ নং) তাহা নোয়াখালী সাব রেজিষ্ট্রি হতে তল্লাশকারক দিয়ে তল্লাশি করে অবিকল নকল নিয়ে দেখতে পান উক্ত ১২৮৯ নং দলিলখানা ০১ নং চরমটুয়া ইউনিয়নের জনৈক আবদুর রব গংদের।
জমাখারিজ সৃজনকারী নিজাম উদ্দিন ও আবদুল করিমকে জমাখারিজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন আমরা অশিক্ষিত দিনমজুর কোন কিছু বুঝি না বিধায় স্থানীয় জমি পরিমাপকারী (আমিন) আবদুর রহিম, পিতা-নুরুল হুদা, সাং-৯৩ সল্যার কাছে জমিটি জমাখারিজ করে দেওয়ার কথা বললে তিনি অনেক ঝামেলা আছে বলে ২৬ হাজার টাকার বিনিময়ে তৎকালীন হায়দার মিয়ার হাটের তহসিল অফিসের একজন পিয়নের মাধ্যমে জমাখারিজটি সৃজন করেন (পিয়নকে দেখলে চিনবো)।
অভিজ্ঞ মহলের দাবী অচিরেই এই সঙ্গবদ্ধ দলটিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে নিরীহ ভূমির মালিকদের হয়রানি থেকে রক্ষা ও উপরোক্ত গ্রহিতা আমেনা খাতুন ৯৩ সল্যার নাগরিক হলেও কেন জমি খরিদ করার সময় স্বামীর নাম ব্যবহার না করে সুবর্নচর উপজেলা হারিছ চৌধুরী বাজারে তার মৃত পিতার নাম ব্যবহার করলেন তাও তদন্ত পূর্বক দেখা প্রয়োজন বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। নচেৎ প্রকৃত ভূমির মালিকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখিন হবে।